ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি গঠনমূলক ও জনকেন্দ্রিক সম্পর্কের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: মোদি

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে আজ শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা ঘিরে তৈরি হয়েছে ব্যাপক জল্পনা।

বৈঠকের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও এক্সে পোস্ট করেছেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেছি। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি গঠনমূলক ও জনকেন্দ্রিক সম্পর্কের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মোদি আরও লেখেন, আমি বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা, অন্তর্ভুক্তি এবং গণতন্ত্রের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি। অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম রোধে ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি এবং হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য আমাদের গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।

এর আগে মোদি-ইউনূস বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। এ সময় বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রগতিশীল, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি প্রফেসর ইউনূসকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক তৈরির আকাঙ্খার কথা জানান। এছাড়া (দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে) এমন কথাবার্তা এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি।’

তিনি জানান, ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই সময় তিনি হিন্দুসহ বাংলাদেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিষয়টি উত্থাপন করেন। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্কের আকাঙ্খার কথা জানান। এসবের পাশাপাশি সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাপর্ণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র সচিব।

বিক্রম মিশ্রি বলেন, এছাড়াও দুই নেতার মধ্যে সীমান্ত নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষায় সীমান্তে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানো জরুরি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশি হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতের চিন্তার বিষয়টি জানান।

শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক পত্র দিয়েছে। তবে হাসিনার প্রত্যার্পণের ব্যাপারে এ মুহূর্তে এরচেয়ে বেশি বলা তার জন্য ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন এই ভারতীয় কূটনীতিক।

নরেন্দ্র মোদি বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান এবং ফোরামের নেতৃত্বে আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেণ। তারা উভয়েই বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সংহতিকে এগিয়ে নিতে পরামর্শ ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সম্মত হন।

Check Also

সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলার দাবিতে মানববন্ধন

সাতক্ষীরায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।