কলারোয়ায় ভেদাভেদ ভুলে বি,এন,পি-আ’লীগের একত্রে প্রকল্পের চেক ভাগাভাগি

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কলারোয়ায় ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় উপজেলায় সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নে টি,আর,কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের টাকার চেক বিতরণে এক অনান্য দৃষ্টান্ত লক্ষ্য করা গেছে। ৫ আগস্ট সারা বাংলাদেশে স্বৈরাচার হাসিনার পালানোর পরে আওয়ামীলীগের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা পালিয়ে গেলেও কলারোয়া উপজেলার ১১ নং দেয়াড়া ইউনিয়নের ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর সংশ্লিস্ট ইউনিয়নের বিনা ভোটের চেয়ারম্যান মফে গাজী অদৃশ্য শক্তির বলে বলিয়ান হয়ে কলারোয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে বুধবার দুপুর ১২ টার সময় দেয়াড়া ইউনিয়ন বি,এন,পি’র কতিপয় সুবিধাভোগী নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে প্রকল্পের টাকার চেক নিতে দেখা গেছে। সে সময় অফিসে প্রকল্প ভাগাভাগি করতে দেখা গেছে মফে চেয়ারম্যান,৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও মেম্বর শহিদুল, ৯ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও মেম্বর হারুন, ৮ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সেক্রটারি ও মেম্বর বদি, আ’লীগ নেত্রী ও মহিলা মেম্বর রশিদা, দেয়াড়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব টুকু, ৮নং ওয়ার্ড বি,এন,পি’র সদ্য সাবেক সেক্রেটারি তাইজুল মেম্বর, ৯নং ওয়ার্ড বি,এন,পি,র সাবেক সেক্রেটারি আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাহিদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডিশ গোলাম, কৃষকদলের জাহাঙ্গির হোসেন প্রমুখ। এরা সকলেই সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলামের স্নেহধন্য পারভেজের আর্শিবাদ পুষ্ট বলে জানা যায়। সুত্র জানায়,দেয়াড়া ইউনিয়নের অধিকাংশ প্রকল্পের সভাপতি ডিশ গোলামের বোন রশিদা। মহিলা মেম্বর হওয়ায় তাকে সভাপতি দেখিয়ে কাজ ভাগাভাগি করা হয়েছে। এ বিষয়ে মহিলা মেম্বর রশিদা বলেন আমাকে প্রকল্পের সভাপতি বানিয়ে সই করে নিয়েছে,চেক নিয়ে পারভেজের কাছে দিতে হবে। এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা বি,এন,পি’র একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করে যারা এমন কাজে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যে বজলুর রহমানের গায়ের রক্তের দাগ এখনো মুছেনি তার ছেলের এমন কর্মকান্ড মেনে নেওয়া যায় না। তিনি এ সমস্ত কথা বলে থমকে যেয়ে বলেন, সে তো আবার আমাদের এম,পি’র সবচেয়ে কাছের লোক। তার জন্য জায়েয আছে। তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে খোরদো হাট দখলে নিয়েছে এ চক্রটি। ইতিমধ্যে এম,পির আর্শিবাদ কাজে লাগিয়ে ছলিমপুর কলেজ ও দেয়াড়া হাইস্কুলের সভাপতি হয়েছেন এই পারভেজ। এখানেই তাদের অপকর্ম থেমে নেই কাশিয়াডাঙ্গা ত্রিমোহিনী ঘাট ডাক না থাকলেও তার মদদে দীর্ঘদিন টাকা তুলে ভাগাভাগি করে নেয় তার অনুসারিরা। এলাকাবাসির বাধার মুখে টাকা তোলা বন্ধ করতে বাধ্য হয় তারা। কাশিয়াডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুলের সামনের একটি গর্ত বুজানোর জন্য কয়েক লক্ষ টাকার বাণিজ্য করেছেন এই চক্র। এমনকি সরকারি রাস্তার গাছ কেটে সাবাড় করারও অভিযোগ আছে এদের বিরুদ্ধে। এমন কর্মকান্ডে বি,এন,পি,’র নিবেদিত কর্মীরা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। এমন কর্মকান্ডের প্রভাব আগামী নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।

Check Also

নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি ফের বুধবার

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আপিলের পরবর্তী শুনানির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।