মাসুদ রানা, সাতক্ষীরা: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা শহর শাখার অন্তর্গত সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থানা শাখার উদ্যোগে ২০২৪-২৫ সেশনে অনার্স ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ( ৩১ মে ) সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে সকাল ৯ টা থেকে ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা শহর শাখার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থানা শাখার তত্ত্বাবধানে সরকারি কলেজ সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনার্স ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য তথ্য সহায়তা কেন্দ্র পরিচালিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাতক্ষীরা শহর সভাপতি মুহা আল মামুন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাতক্ষীরা শহর সেক্রেটারি মেহেদী হাসান।
প্রধান অতিথি মুহা আল মামুনের কাছে ছাত্র শিবিরের ব্যাতিক্রমধর্মী আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির একটি স্বতন্ত্র ধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সূচনা লগ্ন থেকে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে ।তারই ধারাবাহিকতায় আজ ২০২৪-২৫ সেশনে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে অনার্স ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থানা শাখার আয়োজনে পরীক্ষার্থীদের তথ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য ইনফরমেশন বুথ নামে একটি স্টল দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রের সিট প্ল্যানিং এর তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি এখানে যারা পরীক্ষা দিতে আসছে তাদের জন্য রাখা হয়েছে ১টি করে পানির বোতল, ছাত্রশিবিরের লোগো সম্বলিত একটি কলম, বিভিন্ন দাওয়াতি স্টিকার ও বই, হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ডাক্তার সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী, খাবার স্যালাইন এবং অভিভাবকদের বসার জন্য চেয়ার। তিনি ছাত্র শিবিরের পাশাপাশি অন্যান্য যে সকল ছাত্র সংগঠনগুলো হেল্প ডেক্স দিয়েছে তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং আগামীতে সকল ছাত্র সংগঠনগুলোকে একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
ছাত্র শিবিরের পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, বাঁধন রক্তদান সংস্থা, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থা, ছাত্র অধিকার পরিষদ ছাত্র সংগঠন সহ সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের গণিত বিভাগ ,পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ পরীক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য তথ্য সহায়তা স্টল দেয়।
ছাত্র সংগঠনগুলোর এ ধরনের ব্যতিক্রমী আয়োজনে পরীক্ষার্থী সহ অভিভাবকরা খুবই আনন্দিত এবং উচ্ছসিত। তারা আগামীতে যেকোনো ধরনের ভালো কাজের জন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে এই ধরনের প্রতিযোগিতা মূলক আয়োজন দেখতে চায়।