সাতক্ষীরায় সন্ত্রাসী মাজেদ গংয়ের অত্যাচার ও নির্যাতনের হাত থেকে গ্রামবাসীর রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ব্রজবাকসা গ্রামের আব্দুল মাজেদ ও তার ছেলে শরিফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষদের হয়রানি করার মানসে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যে মামলা দিয়ে ব্রজবাকসা ও রঘুনাথপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক সরদারের ছেলে মোঃ জুলফিকার আলী মিস্টার এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ইরি মৌসুমে তিন গ্রামের অধিবাসীরা ২টি গভীর নলকূপের পানি সেচের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করে থাকেন। ডিপ পরিচালনার নিয়ম হলো একজন ব্যক্তি কয়েক বছর একাধারে ডিপের সেচ পরিচালনা করতে পারবে না। এলাকার মানুষের দাবী ডিপ নিয়ম অনুসারে চলবে।  কিন্তু আব্দুল মাজেদ এই নিয়ম মানতে নারাজ। সে অর্থ এবং গায়ের জোরে তার পোষ্য লাঠিয়াল ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ২টি গভীর নলকূপ ভাংচুর চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে গেল মৌসুমে সেচের কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হয়। যার ফলে তিন গ্রামের মানুষ আর্থিকভাবে দারুন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এঘটনায় এলাকার জনগণ কোর্টে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। যার নং-৭৩/২৫ এবং ৭৪/২৫। যেটা চলমান।
জুলফিকার আলী মিস্টার আরো বলেন, এঘটনার জের ধরে আব্দুল মাজেদ ও তার ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসীদের নামে চাঁদাবাজী, ছিনতাই সহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যার আদৌ কোনো ভিত্তি নেই। এই সুযোগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এক-শ্রেণির তদন্ত কর্মকর্তা সঠিক তদন্ত না করে মাজেদের অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে এলাকাবাসীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে চলেছে। আব্দুল মাজেদ ও তার ছেলে শরিফুল ইসলামের দৌরাত্ম  ও টাকার অহংকারের কাছে সবাই জিম্মি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে মাজেদ এবং তার ছেলের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। থানার তদন্ত কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মাজেদ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে সি আর ৬/২৪, কলারোয়া, সি.আর ৩১/২৫, কলারোয়া, সি আর ২৬/২৪, কলারোয়া, পিটিশন ২০৯৮/২৪, পিটিশন ৩৭৬/২৫, পিটিশন ১৭৮/২৪, কলারোয়া, পিটিশন ১৭৯/২৪, কলারোয়া, পিটিশন ৮৯০/২৪, সহ বিভিন্ন মিথ্যে মামলা করেছে। প্রতিটি মামলায় এলাকা থেকে ২০/২৫ জন ব্যক্তিদেরকে আসামী করা হয়েছে। তার মিথ্যে মামলা থেকে এলাকার বৃদ্ধ মানুষেরাও রেহাই পায়নি। এলাকার মানুষ সন্ত্রাসী, গডফাদার, ভূমিদস্যু ও চোরাকারবারী মাজেদের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে চায়।
তিনি চোরাকারবারী মাজেদ ও তার ছেলের হাত থেকে এলাকাবাসীর নিষ্কৃতির দাবিতে স্থানীয় প্রশাসনসহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও  প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

Check Also

ছোট গাছে সাত ছড়া সৌদি খেজুর, লাভের আশা সাতক্ষীরার চাষির

সাতক্ষীরা শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের কালীগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নে যখন পৌঁছালাম, সূর্য তখন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।