সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ চামড়া সংরক্ষণে এতিমখানা ও কওমি মাদরাসায় দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে লবণ । চামড়া শিল্পের সংকট নিরসনে এবং চামড়ার মান নিয়ন্ত্রণের জন্য এ বছর থেকে এতিমখানা ও কওমি মাদরাসায় সরকারি ভর্তুকিতে লবণ দিচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা জেলায় ১২০ টন লবণ দেওয়া হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহম্মেদ আজ ৭ জুন সকাল সাড়ে ৭ টায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে ঈদেও নামাজ পূর্ব বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একটি চামড়াও নষ্ট করবেন না প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক চামড়া সংগ্রহ করবে। সাতক্ষীরা জলা প্রশাসক মোস্তাক আহম্মেদ আরো বলেন, চামড়া আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদ। এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিখাত। কোরবানির সময়ে কাঁচা চামড়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, সঠিকভাবে সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এই জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সব নাগরিকের দায়িত্ব। তিনি বলেন, কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণে জেলার প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়নে মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হবে। সেই সঙ্গে প্রত্যেক এতিমখানা, হাফিজিয়া ও কওমি মাদরাসায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লবণ পৌঁছানো হবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, কুরবানির শিক্ষা নিয়ে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাশ, টেন্ডারবাজ মুক্ত সাতক্ষীরা গড়ে তুলতে সকলকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান। পরে সুলতানপুর বড় বাজারের ইমাম মাওলানা আব্দুল খালেক ঈদের নামাজে ইমামতি করেন।
কোরবানির পশুর চামড়ার মান নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেক গরুর জন্য ৮ কেজি, মহিষের জন্য ১০ কেজি, ভেড়ার জন্য ৪ কেজি ও ছাগলের জন্য ৩ কেজি লবণ দেওয়া হচ্ছে।
এবছর সরকার জেলাগুলো থেকে কোরবানির দিন হতে পরবর্তী সাত দিন ঢাকার অভ্যন্তরে চামড়া ঢুকতে দেবে না। তাই জেলায় জেলায় চামড়া সংরক্ষণের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যেহেতু দেশের অধিকাংশ কোরবানি দাতা কোরবানির চামড়া এতিমখানা, হাফিজি ও কওমি মাদরাসায় দান করেন। এজন্য স্থানীয় প্রশাসন কাঁচা চামড়া ক্রয়—বিক্রয়ের জন্য অস্থায়ীভাবে চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা করছে।
এদিকে চামড়া সংরক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণের জন্য মাদরাসাগুলোকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে সঠিকভাবে জেলা প্রশাসন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
কওমি মাদরাসায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লবণ পৌঁছানো হবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে।