শ্যামনগর (সাতক্ষীরা): বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন কুরবানী পশুর চামড়া ন্যায্য মূল্য ক্রয়ের জন্য বিনামূল্যে সাড়ে সাত লক্ষ মেট্রিক টন লবণ বিতরণ করা হয়েছিল। এছাড়া ৮৬ হাজার কসাইকে সরকার ট্রেনিং দিয়েছে। চামড়া শিল্পে ২১৫ কোটি প্রনোদনা টাকা সরকারের ঈদের আগেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। চাহিদার জন্য ওয়েট ফুল চামড়া এবং সাদা চামড়া রপ্তানির জন্য ছাড় দিয়েছেন। এখন জনগণ নিয়ম মেনে একত্রিত হয়ে মজুদ বা সংরক্ষণ করলে সরকার নির্ধারিত মূল্য আরো বেশি মূল্য পাবে।
কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু নিউজ মিডিয়ায় কুরবানি পশুর চামড়া নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করে , কাচা চামড়া যদি লবণ মেশানো না হয় তাহলে সেগুলো পচে যাবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা এর আগে সুন্দরবন ঘেষা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
তিনি এ সময় বলেন, ‘বিগত দিনে আমাদেরকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যেখানে অস্থিরতা নৈরাজ্য কারণে জ্ঞান পিছনের দিকে চলে গিয়েছিল। নৈরাজ্য এবং সমস্ত রকম অন্যায়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছিল। বায়তুল মোকাররমের মতো জায়গার খতিব পালিয়ে গেছেন। সেখানে তো মানুষের জীবনে কোনো প্রভাব বিস্তার করে না, সেটা ছিল সম্মান ও ইজ্জতের জায়গা। কিন্তু তারপরও সেখান থেকে তিনি পালিয়ে গেছেন। সামগ্রিকভাবে দেশের যতগুলো প্রতিষ্ঠান ছিল বিচারালয় হোক বা এন্টিকরাপশনের মত জায়গা কে ধ্বংস করা হয়েছিল।’
রাষ্ট্রের সকল জায়গাকে ধ্বংস করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে বাণিজ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, দেশে দুর্বৃত্তায়ন ঘটেছিল। দেশের মানুষদের হয়রানি করে অসম্মান করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠান শেষে তিনি বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে একটি ফলজ বৃক্ষের চারা রোপণ করেন।
আজ সোমবার বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠিত মিলন মেলায় সাবেক শিক্ষাথী আবু বক্কর সিদ্দিকর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সিদ্দিক জোবায়ের, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ আহমেদ, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোসা. আসমা বেগম, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রাক্তন শিক্ষার্থী আব্দুল মজিদ, প্রধান শিক্ষক মো. শামীম হোসেন প্রমুখ।