সাতক্ষীরা: সুন্দরবন উপকূলীয় সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রত্যন্ত জনপদে গাছে গাছে এখন মরুভূমির দেশ সৌদি আরবের সুস্বাদু খেজুর শোভা পাচ্ছে। কোন গাছে আগে কোনটাতে এখন নতুন করে খেজুর ধরতে শুরু করেছে। আবার কোন গাছের খেজুরের রঙ ধরেছে পাকার।
উপকূলের আটুলিয়া ইউনিয়নের হাওলভাঙ্গী গ্রামের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে মরিয়ম জাতের এ খেজুর।
শ্যামনগরের ব্যবসায়ী মোঃ সিরাজুল ইসলাম কয়েক বছর আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য। সেখান থেকে নিয়ে এসেছিলেন মরিয়মসহ বিভিন্ন জাতের খেজুর। সেই খেজুরের আটি বা বিচি সংরক্ষণ করে শ্যামনগর – নওয়াবেকি সড়কের পাশে হাওলডাঙ্গী এলাকায় এক খন্ড জমিতে তিনি তৈরি করেছিলেন বীজতলা।
কয়েক মাস পরেই বীজ থেকে চারা গজাতেই সিরাজুল ইসলাম স্বপ্ন দেখেন লবণাক্ত এলাকায় পবিত্র সৌদি আরবের খেজুর ফলন সম্ভব। সে অনুযায়ী তিনি পরীক্ষামূলকভাবে ২০-৩০ টি গাছ রোপন করেন।
সিরাজুল ইসলাম জানান এ বছর খেজুর গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ খেজুর ধরেছে। কয়েকটি গাছে ইতিমধ্যেই খেজুর পাকতে শুরু করেছে। কয়েকটি গাছের কাঁদিতে ঝুলছে খেজুর। তিনি জানান, যে পরিমাণ খেজুর ধরেছে তা এক এক গাছে এক মনেরও বেশি পরিমাণ হারভেস্ট করা যাবে।
উপকূলীয় এলাকায় সৌদির মরিয়াম জাতের খেজুর দেখতে প্রতিদিন দূর দুরান্ত থেকে মানুষ আসছে। বর্তমানে তার চিংড়ি ঘেরের আইলে বা বেড়ীবাঁধে খেজুর গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। সব ধরনের পরামর্শের জন্য কৃষি বিভাগ তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি জানান প্রথমে তিনি লবনাক্ত জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে সৌদি আরবের খেজুর গাছ লাগালেও তাতে পর্যাপ্ত ফলন দেখে খুবই আনন্দিত। এক বিঘা জমিতে খেজুর চাষে ৩/৪ লাখ টাকা খরচ হবে। ৩/৪ বছর সময় পর থেকে ফলন আসতে শুরু করবে এবং ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকার খেজুর ফলন পাওয়া যাবে।