নওয়াবেঁকী বাজারে অবৈধ স্থাপনা তৈরির হিড়িক

নওয়াবেঁকী বাজারে অবৈধ স্থাপনার তৈরির হিড়িক। নওয়াবেঁকী বাজারে অবৈধ স্থাপনার তৈরির হিড়িক।

মোজাফফর হোসাইন : শ্যামনগর

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নওয়াবেঁকী বাজারের তোয়া বাজারের জায়গা দখল করে অবৈধ ভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে।

পেরিফেরি ভুক্ত জায়গা নিয়মেয় ভিতরে থেকে বন্দোবস্ত দেওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তা তা অনুসরণ করেনি।

প্রভাবশালীরা তোয়া বাজারের জায়গা দখল করে রাতদিন বিরামহীন ভাবে চলছে ১১ টি দোকান নির্মাণের মহা কর্মযজ্ঞ।

সরকারি পেরিফেরিভুক্ত জায়গা নিয়ে এমন অনিয়ম আর আইন বিরুদ্ধ কর্মকান্ড প্রকাশ্যে চললেও ‘পা’ ফেলা দুরত্বে অবস্থিত ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্তব্যক্তিদের নজরে তা কোনভাবে আসছেই না,এদিকে চরম উৎকণ্ঠার ভিতরে রয়েছে দূর থেকে ব্যাবসার জন্য আসা হাটুরীরা।

নওয়াবেঁকী বাজারের নিউ মার্কেটে সংলগ্ন এলাকাটি তোয়া বাজারের জায়গা হলেও সেখানে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে, তাদের বিভিন্ন অংকের টাকার চুক্তিতে কাগজ বুঝিয়ে দেওয়া হলেও তারা কাগজ দেখাতে অস্বীকৃতি জানাই।

খোজ খবর নিয়ে জানাযায় বাজারের কাগজে ভিন্ন দাগের বন্দোবস্ত যোগ্য জায়গার ম্যাপে দেখালেও তারা স্থাপনা নির্মাণ করছে তোয়া বাজার অর্থাৎ বন্দোবস্ত দেওয়া যাবে না এমন জায়গায়।

এসব ব্যাক্তিরা হলেন স্থানীয় মনিরুল ইসলাম, আবু বাক্কার, সাত্তার, আমজাদ হোসেন প্রমূখ।
অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী বিভিন্ন মহলের সহায়তায় ইজারা নিয়ে মুল্যবান পেরিফেরিভুক্ত সম্পত্তিতে ইচ্ছামত আর সি সি প্লিলারসহ ভবন, নানা ধরনের স্থাপনা গড়া হচ্ছে। পেরিফেরিভুক্ত জায়গায়তে স্থাপনা নির্মানে অবশ্য পালনীয় কিছু শর্ত থাকা সত্ত্বে বরাদ্দ গ্রহন বা স্থাপনা নির্মানের ক্ষেত্রে তা ন্যুনতম অনুসরন করা হচ্ছে না।

জানা যায়, ২০০১ সালে উপজেলার সবচেয়ে বড় মোকাম নওয়াবেঁকী মোকাম পেরিফেরিভুক্তির আওতায় আসে। শুরু থেকে দীর্ঘদিন স্থানীয়রা ভূমি অফিস ইজারা বা বন্দোবস্ত শর্ত মেনে স্থাপনা নির্মানসহ ব্যবসায়ীক কার্যক্রম চালু রাখার দিকে নজর রাখলেও । তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে নওয়াবেঁকী বাজারের পেরিফেরিভুক্ত জায়গা নিয়ে রীতিমত হুলুস্থুল কান্ড ঘটে যাচ্ছে।

লক্ষ লক্ষ টাকার বানিজ্যে জড়িয়ে প্রভাবশালী ও বিত্তবানরা কতৃপক্ষের সহায়তায় পেরিফেরিভুক্ত জায়গা বরাদ্দ নিয়ে যা খুশি তাই করছে।

ইজারা শর্তেও গুরুতর লংঘন হলেও স্থানীয় তহশীল অফিসের কর্মকর্তারা মুখে কুলুপ এটেছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিক বার কল করলে রিসিভ করেননি।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্জিব দাস বলেন বিষয়টি শুনেছি তাদের কাগজ না থাকলে তাদের স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হবে।

Check Also

ইটাগাছায় আগামী ২৯ ও ৩০ তারিখের তাফসির মাহফিল উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

ইটাগাছা সমাজ কল্যান পরিষদের উদ্যোগে অষ্টম বার্ষিক ২ দিন ব্যাপি তাফসীরুল কোরআন মাহফিল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।