নিরাপত্তা পরিষদের সভা আহ্বান জাতিসঙ্ঘপ্রধানের, ক্ষুব্ধ ইসরাইল

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটারেস তার হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত জাতিসঙ্ঘ সনদের ৯৯ ধারা প্রয়োগ করে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভা আহ্বান করেছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইসরাইল গুটারেসকে ‘বিশ্ব শান্তির জন্য বিপদ’ হিসেবে অভিহিত করে অভিযোগ করেছে যে তিনি হামাসকে সমর্থন করছেন।

গুটারেস বুধবার জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদকে লেখা এক চিঠিতে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রতি হুমকি মনে করলে মহাসচিব যেকোনো বিষয়ের প্রতি নিরাপত্তা পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন।’

গুটারেজ ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম এই ধারাটি প্রয়োগ করলেন।

চিঠিতে গাজায় মানবিক বিপর্যয় প্রতিহত করার জন্য চাপ প্রয়োগ এবং মানবিক যুদ্ধবিরতির আবেদন জানানোর জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান।

এ ব্যাপারে জাতিসঙ্ঘ মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, ‘গাজা এবং ইসরাইলে অতি স্বল্প সময়ে মানুষের জীবন হানির মাত্রার কারণে’ জাতিসঙ্ঘপ্রধান এ পদক্ষেপটি গ্রহণ করেছেন।

গুটারেস আশা করছেন, ‘এই নাটকীয় সাংবিধানিক পদক্ষেপের’ ফলে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়র ওপর যুদ্ধবিরতির দাবি জানাতে আরো চাপ সৃষ্টি হবে।

তবে এই পদক্ষেপটি গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসতে বাধ্য হবে। কিন্তু ভেটো ব্যবস্থার কারণে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারবে বলে মনে হয় না।

যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছে যে তারা এর বিরোধী। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এই প্রস্তাব পরিস্থিতির জন্য সহায়ক হবে না।

এদিকে ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইলি কোহেন এক টুইটবার্তায় জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব গুটারেসকে ‘বিশ্ব শান্তির জন্য বিপদ’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, তিনি হামাসের পক্ষ নিয়েছেন।

সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল

Check Also

এবার গাজার যোদ্ধাদের নেতৃত্ব দেবেন যিনি

ফিলিস্তিনের গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খালেদ মেশাল। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।