সাতক্ষীরা-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী সরদার মুজিবকে নিয়ে সমালোচনার ঝড়
————————————————————–
আসাদুজ্জামান ::
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সাতক্ষীরায় দলীয় নেতা-কর্মীরা বেশ উজ্জিবিত। ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। জেলার বিভিন্ন স্থানে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের রকমারী ব্যানার, পোষ্টার ও প্যানা লাগিয়ে ভোটারদের মাঝে ইতিমধ্যে প্রচার-প্রচারনাও চালাচ্ছেন। তবে, অনেকের ব্যানারের ছবি ও লেখা নিয়ে আবার সমালোচনার ঝড়ও বইছে। এমনই এক জন সাতক্ষীরা-০১ আসনের (তালা-কলারোয়া) সম্ভাব্য প্রার্থী সরদার মুজিব। যিনি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক। তিনি তার নির্বাচনী এলাকা কলারোয়ায় উপজেলার কাজীরহাট মেইন সড়কের উপর একটি তোরন তৈরি করেছেন যেখানে তিনি তার ছবির নিচে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনের একটি ছবি দিয়েছেন। সেটা তিনি আবার তার ফেসবুকেও শেয়ার করেছেন। আর তার এই শেয়ার করা ছবি নিয়ে রীতিমত তালা-কলারোয়া বাসীর মধ্যে আলোচনার ঝড় বইছে। আওয়ামী নেতা-কর্মীদের অনেকেই জাতির পিতার প্রতি অসম্মান ও দলের ভাব্ মূর্তি নষ্ট করার অপরাধে তাকে উপযুক্ত শাস্তিরও দাবী জনিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সরদার মুজিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষটি এমন নয়। বঙ্গবন্ধুর ছবি আমার ছবির উপরেও দেয়া হয়েছে। তবে, আমার ছবির নিচের অংশে বাঁশ দেখা যাচ্ছিল তাই আমার লোকেরা বাঁশটি যাতে না দেখা যায় সেজন্য আমার ছবির নিচে বঙ্গ বন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনের আরো একটি আলাদা ছবির ব্যানার লাগিয়েছিল। যেটা ইতিমধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন জানান, সরদার মুজিবের রাজনীতি করার মত কোন যোগ্যতাই তার নাই । তিনি একজন অল্প শিক্ষিত মানুষ। এসএসসি পাশ করার পর তিনি সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে চাকরী নেন এবং সৈনিক পদেই তিনি বাধ্যতা মূলক অবসরে যান। তিনি আরো জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি অসম্মান ও দলের ভাব্ মূর্তি নষ্ট করাই তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
—————————
কে এই সরদার মুজিব :
—————————
কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের নাকিলা গ্রামের মৃত লাল চাঁদ সরদারের ছেলে সরদার মুজিব ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক হিসেবে যোগদান করেন। সেখান থেকে তিনি দাবী করেন প্রমোশন পেয়ে প্রথমে ল্যান্স কর্পোরাল, এরপর কর্পোরাল ও সর্বশেষ সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ১৯৯৯ সালে বাধ্যতা মূলক অবসরে যান। অবসর যাওয়ার পর তিনি সৈনিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক হন। এরপর দপ্তর, সাংগঠনিক ও বর্তমানে তিনি সৈনিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি । তিনি বঙ্গবন্ধুর ছবির উপরে তার ছবি দিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় এখন সমালোচনার পাত্র হয়ে উঠেছেন।voiceofsatkhira.com/2017/08/08/69740.html