কলারোয়ায় মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিটের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

ক্রাইমর্বাতা রির্পোাট :সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : কলারোয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মারপিটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কলারোয়ার গয়ড়া গ্রামের মৃত ইছাক মোড়লের পুত্র বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহাজান আলী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একই গ্রামের মৃত. ঈমান আলী খলিফার পুত্র নাসির উদ্দীন ও নাসির উদ্দীনের ছেলে হিমেল হোসেন গংদের সাথে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। পাশ^বর্তী রামভদ্রপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র ডালিম হোসেনের ইন্ধনে তারা আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নাসির উদ্দীনের পুত্র হিমেল আমার পুত্র বধুকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল বিভিন্ন সময়। আমার পুত্রবধু এর প্রতিবাদ করলে হিমেল গং ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৭/৫/২০২০ তারিখে বিকাল ৫টায় দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বশতবাড়ীতে প্রবেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে এলোপাতাড়ী চড়, কিল, ঘুষি ও লাথি মারে। তারা আমার স্ত্রী শাহানাজ পারভীনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম হয়। এঘটনায় পুত্রবধু ঠেকাতে আসলে হিমেল তার পরনের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীতাহানী ঘটায়। সে সময় তার গলায় থাকা ৯০ হাজার টাকা মূল্যে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা চেষ্টা চালায়। আমার বোন ডালিয়া আফরোজ ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ী মারপিট করে মাটিয়ে ফেলিয়া জখম করে। তার গালায় থাকা ১ ভরি ৩ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন যার আনুমানিক মূল্য ৮০ হাজার ছিনিয়া নিয়া যায়। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনায় আমি কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কলারোয়া থানা মামলা গ্রহণ করেনি। কলারোয়া থানা পুলিশ বলেন ধতর্ব্যরে মধ্যে আপনি অভিযোগ করেছেন। কিন্তু সেটি প্রসিকিউশন করার জন্য লিখিছে সেটি অধর্ব্যরে মধ্যে পড়েছে মর্মে প্রসিকিউশন কাগজে স্বাক্ষর করুণ। আমি এতে স্বাক্ষর না করায় বার বার মিমাংসা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন। আমি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা হয়েও ওই সন্ত্রাসী প্রকৃতির পরিবারের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছি। একদিকে আমার জমি দখলের চক্রান্ত চালাচ্ছে অন্যদিকে আমাকেসহ পরিবারের সদস্যদের মারপিট ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এব্যাপারে সন্ত্রাসী পরিবারের সদস্য কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মারপিটের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু কামনা করেন তিনি।

Check Also

তালা খেশরায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি,যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

কামরুজ্জামান—মিঠু, তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ তালা খেশরায় অতি বৃষ্টির ফলে হাজারও মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, খেশরায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।