ক্রাইমবার্তা রিপোট:প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি। দলের মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর গুরুত্বপূর্ণ। কিছু সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আলোচনা চলছে। কিন্তু প্রস্তাবিত চুক্তি সম্পর্কে কোনো কিছুই জানা যায়নি। তবে ভারতের গণমাধ্যম ও বিশিষ্ট কলামিস্টদের লেখা থেকে জানতে পারি, কিছু চুক্তি সই হবে। সম্ভাব্য চুক্তিতে কী কী থাকছে তা প্রকাশের জন্য সরকারকে আহ্বান জানান তিনি। তা না হলে দেশের স্বার্থ ও স্বার্বভৌমত্ববিরোধী কোনো ধরনের চুক্তি বা স্মারক জনগণ মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মির্জা ফখরুল।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদেরকে চুক্তির ব্যাপারে এখনো কিছুই জানানো হয়নি। তথাকথিত সংসদেও কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে জনগণকে পাশ কাটিয়ে দেশবিরোধী কোনো চুক্তি করা হলে জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার দাবি করে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক বর্তমান সময়ে উষ্ণতম সম্পর্ক চলছে। কিন্তু সীমান্তে প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা চলছে। গত এক বছরে ৫৫২ জনকে হত্যা করেছে বিএসএফ। ফেলানী হত্যার বিচার আজো পায়নি বাংলাদেশ। তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে বহু আশার কথা বলা হলেও তার কোনো খবর নেই। পানিসম্পদ মন্ত্রী আবারো বলেছেন যে তিস্তা চুক্তি হবে না। এতসব সমস্যাদি থাকলেও কোনো কথা বলছে না সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের ভারতকে একচেটিয়াভাবে ট্রানজিট দেয়া হয়েছে। মংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরপরও নতুন করে চার হাজার কোটি টাকার বিনিময় চুক্তির কথা বলা হচ্ছে। এতকিছু ভারতকে দেয়া হলেও কেন এত টাকার চুক্তি করতে হবে?
এছাড়া নয়া পল্টনে দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।