দেশের ৬০ ভাগ মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে : বি. চৌধুরী

ক্রাইমবার্তা রিপোট: বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, হিসেব-নিকেশ করলে দেখা যায়, দেশের অন্তত ৬০ ভাগ মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে। তাহলে সরে না কেন সরকার, সরায় না কেন সরকার। এর কারণটা কি?

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জে ওসমানীর ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘জেনারেল ওসমানী: আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে জাতীয় স্মরণ মঞ্চ নামে একটি সংগঠন।

দেশের ৬০ ভাগ মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে : বি. চৌধুরী

তিনি বলেন, ‘সরকার সরানোর প্রধান দায়িত্ব মূল বিরোধীদলের নেত্রী যিনি তার। এখানে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন না। এই ব্যর্থতা কার? ইয়েস, ইয়েস তিনি কর্তৃত্ব করতে পারেন না কেন? তার তো সেই শক্তি সামর্থ্য ছিল, এখন কি এমন হলো যে জন্য তিনি (খালেদা জিয়া) পারেন না। এটা তাকে অনুসন্ধান করতে বলবো। মনে রাখতে হবে সমগ্র বিরোধীদলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলেই তখন সরকারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তোলা সম্ভব, এর আগে নয়।’

বি. চৌধুরী আরো বলেন, ‘আমরা জনগণের প্রতিনিধিত্বে বিশ্বাস করি, অন্য কোনো কিছু নয়। ভোটাররা ভোট দিবে, ভোটের মাধ্যমে জিততে চাই। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেলে কোনো বেআইনি প্রশাসন তাদের টিকিয়ে রাখেতে পারে না। এটা বারবার দেখা গেছে।’

তিনি বলেন, ‘এমন একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার যার অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনের নামই তুলছি না। যতগুলো নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে এগুলো নির্বাচন কমিশনের উপর ভিত্তি করে নয়, সরকার নিরেপক্ষ ছিল এটাই মূল কথা। সেই জন্য বলছি, একটি নিরপেক্ষ সরকার। বর্তমান পেক্ষাপটে জাতীয় সরকার ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে নিরপেক্ষ সরকার হতে পারে না। সহায়ক সরকার নামে কোনো শব্দ নেই। সমস্ত দল নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তখন খালেদা জিয়া সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করে বড় ভুল করেছেন। প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাদেরকে স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দেওয়া হবে। এই দুইটা থাকলে আর কিছু লাগে! তারপরও যদি ঠেকাতে না পারেন ব্যর্থতা…।’

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে। তা না হলে নির্বাচন করবেন কীভাবে। সেই জন্য সমস্ত রাজনৈতিক মামলা দুই বছর বন্ধ। এরপর বিচার করুন। এর মধ্যে নির্বাচন হয়ে যাবে। সমস্ত মামলা দুই বছরের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট যারা সংলিষ্ট আছেন। তাদেরকে ওই দুই মন্ত্রণালয় (স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন) দিয়ে দেন। মামলা তুলে নেওয়ার দরকার নেই। স্থগিত করেন তাহলেই ভাল নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’

সংগঠনের আহ্বায়ক আ হ ম মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এনাম আহমেদ চৌধুরী, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহবুব উল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা ইসমাঈল হোসেন বঙ্গেল প্রমুখ।

Check Also

’৭২-র সংবিধান বাতিলসহ ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করার দাবী

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ, ’৭২-র সংবিধান বাতিল, বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ মোট পাঁচ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।