পিতাকে খেতে গিয়ে হামলার স্বিকার হলেন খালা ও নানী!

ফিরোজ হোসেন : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাছখোলা ঝুটিতলায় অসহায় শিশু সুমাইয়া ইয়াসমিনের পিতাকে দেখার জন্য নিয়ে গিয়ে হামলার স্বীকার হলেন শিশুর খালা শাহীনা খাতুন (৪০) ও তার নানী হামিদা খাতুন। ঘটনাটি ৩/৫/১৮ ইংরেজী তারিখে বেলা ১১ টার সময় মাছখোলা ঝুটিতলা গ্রামে ঘটে। এবিষয় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন আহত শাহিনা খাতুনের মাতা হামিদা থাতুন। মোছাঃ হামিদা খাতুন জানান ১০ বছর পূর্বে আমার কন্যা মোছাঃ রেহেনা খাতুনের সাথে আমাদের উপরে হামলাকারি মাছখোলা ঝুটিতলা গ্রামের গনি মোড়লের পুত্র মো. বাবলুর রহমানের সাথে বিবাহ হয়। কিন্তু সে মেয়ে রেহেনা খাতুনকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এক পর্যায় গত ৮/১/১৮ তারিখে ব্রাক অফিসের মাধ্যমে বাবলুর সাথে মেয়ে রেহেনা খাতুনের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। মেয়ে রেহেনার একটি কণ্যা সন্তান আছে। তার নাম সুমাইয়া ইয়াসমিন । বর্তমানে সে আমাদের কাছে আছে। অনেকদিন ধরে পিতা বাবলুকে দেখার জন্য সে কান্নাকাটি করে আসছিল। তাই গত ০৩/০৫/১৮ ইং তারিখে বেলা ১১ টার দিকে আমি (হামিদা) ও আমার বড় মেয়ে শাহিনা খাতুন নাতনী সুমাইয়াকে নিয়ে মাছখোলা ঝুটিতলায় বাবলুর বাড়িতে গেলে বাবলুর রহমান ও তার ভাই আজম আলী (৫৫) ও তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৪৫) অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে। কারণ জানতে চাইলে তারা আজম আলীর কথা মতো বাবলুর রহমান ও ফাতেমা খাতুন আমাদের উপরে তারা লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে শাহিনা খাতুনকে শ্লীলতাহানী করে। হামলায় শাহিনা খাতুন মারাত্মক জখম হয়। শাহিনার গলায় থাকা ৬৫ হাজার টাকার মূল্যে সোনার চেইন আজমের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ছিনিয়ে নেই। তাদের চেচামেচী শুনে ঘটনাস্থলে এসে শাহিনা খাতুনকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে । এদিকে এ ঘটনায় এলাকাবাসি জানান বাবলুর মেয়েকে তার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে তার চাচা আজম আলী ও তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন মিলে এ হামলা করেছে। যাহাতে আর কখনও সুমাইয়া এ বাড়িতে এসে অধিকার না পায়।

Check Also

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরায় দুই জেলে আটক

শ্যামনগর (সদর) প্রতিনিধি: পশ্চিম বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জ সুন্দরবনের নদীতে বিষ দিয়ে মাছ ধরার সময় দুই …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।