ঢাকা, ১৩ মে, এবিএন ওয়ার্ল্ড : আবারও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বলিউড অভিনেত্রী তথা বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। রাই সুন্দরীর মোদি বন্দনা এটিই প্রথম নয়। তবে সম্প্রতি পানামা নথি বিতর্কে জেরবার বচ্চন পরিবার। এহেন আবহে নায়িকার এই মন্তব্য নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়া বলেন, মোদি যেভাবে দেশ গঠন করছেন, তা সহজ কাজ নয়। প্রধানমন্ত্রী যা করছেন, তা দেশবাসীর কথা ভেবে, তাদের মঙ্গলের জন্যেই করছেন।
পানামা নথিতে অমিতাভ এবং ঐশ্বরিয়ার নাম জড়ানোর পাশাপাশি অমিতাভের বিরুদ্ধে ফের চালু হয়েছে পুরনো একটি আয়কর মামলা। এই পরিস্থিতিতে ঐশ্বরিয়ার মুখে মোদিস্তুতি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছেন অনেকে। যদিও ঐশ্বরিয়ার দাবি, তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে আগ্রহী নন। আপাতত স্ত্রী, মা, গৃহবধূর ভূমিকা পালনেই সন্তুষ্ট।
এর আগেও অবশ্য একাধিকবার মোদির প্রশংসা করেছেন ঐশ্বরিয়া। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মোদির পক্ষে বিবৃতি দিয়েছিলেন তিনি। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে উচ্ছ্বাস জানিয়ে বলেছিলেন, ‘মোদির নেতৃত্বে দেশের বিকাশ ঘটবে।’
২০১২ সালে সর্বপ্রথম ঐশ্বরিয়ার মোদি প্রীতি সামনে আসে। ওই বছরে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে মোদি ছিলেন তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। ওই নির্বাচনের আগে ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন, ‘গুজরাটের উন্নয়নের কাহিনী আমি জানি। গুজরাটকে আমার নিজের জায়গা বলে মনে হয়।’ কংগ্রেসের মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা তখন ঐশ্বরিয়ার বিখ্যাত সিনেমার নাম নিয়ে ব্যঙ্গ করে টুইট করেছিলেন, ‘ঐশ্বরিয়ার মন্তব্যে মনে হচ্ছে, হাম বিল দে চুকে সানাম’!
মোদি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই গুজরাটের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ হয়েছিলেন অমিতাভ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন বিভাগের বিজ্ঞাপনচিত্র ‘ইনক্রেডিব্ল ইন্ডিয়া’ থেকে আমির খানকে অপসারণের পরে সে জায়গায় ঘোষণা করা হয়েছে অমিতাভের নাম। তবে পানামা বিতর্কের কারণে ওই চুক্তি আটকে রয়েছে। এরই মধ্যে প্রাক্তন সমাজবাদী নেতা অমর সিংয়ের দাবি, দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসাবে নাকি অমিতাভকেই পছন্দ মোদির।
এবিএন/শুক্র/বিনোদন/ডেস্ক/এফটি