ঢাকা, ১৩ মে, এবিএন ওয়ার্ল্ড : পবিত্র মাহে রমজানের আগে রসুনের দাম লাগামহীন হলেও আপাতত স্থিতিশীল পেঁয়াজের বাজার।দাম কিছুটা বেশি তবে বাড়ার প্রবণতা কম। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দাম অস্বাভাবিক হারে না বাড়ার আশ্বাস দিয়েছেন আড়তদাররা। যদিও দাম বৃদ্ধির আশংকা আছে খুচরা বিক্রেতাদের। রমজান এলেই অন্য কয়েকটি নিত্যপণ্যের মত পেঁয়াজের দামও বেড়ে যাওয়ার রীতি চোখে পড়ে। কারনে-অকারনে কখনও ব্যবসায়িদের বাড়তি মুনাফার লোভে কখনও বা উৎপাদন কম হওয়ার অজুহাতে এ প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। প্রতিবারের মত এবারও এ আশংকা প্রবল। তবে ব্যবসায়িদের আশ্বাস আছে দাম স্থিতিশীল রাখার। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২-২৬ লাখ টন। যার মধ্যে গড়ে ১৭ লাখ টন উৎপাদিত হয় দেশে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এইবার ৩-৪ লাখ টন কম উৎপাদন হলেও স্বাভাবিক রয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। রাজধানীর শ্যামবাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬-১৯ টাকায়।
তবে আড়তদাররা বলছেন, দেশে উৎপাদন কম হলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি থাকায় রমজানেও স্বাভাবিক থাকবে বাজার। অবশ্য ভিন্ন কথাও বলছেন কেউ কেউ। তবে পাইকারি থেকে খুচরায় দামের তফাৎ বেশ লক্ষ্যনীয়। রাজধানীর কারওয়ানবাজারে দেখা যায় খুচরায় প্রতি কেজি দেশী ৪০-৪৫ টাকায়, আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২-২৫ টাকায়। পাইকাররা দাম না বাড়ার আশ্বাসবাণী শোনালেও আশংকা প্রকাশ করেছেন খুচরা বিক্রেতারা।
এবিএন/শুক্র/অর্থনীতি/মমিন