ঢাকা, ১৬ মে : এবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের মধ্যে সংঘর্ষে ধানমন্ডি থানা শ্রমিকদলের সভাপতি বাবুল সরদার (৪৮) মারা গেছেন। রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। এর আগে বিকেলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের মধ্যে সংঘর্ষে ধানমন্ডি থানা শ্রমিকদলের সভাপতি বাবুল সরদার ও সাধারণ সম্পাদক আবু কাওসার ভূঁইয়া (৪৫)।গুরুতর আহত হন। আহত কাওসারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বাবুল সরদারকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তিনি মারা যান। তিনি ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) শ্রমিক দলেরও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মোজাম্মেল বলেন, দুজনের মধ্যে বাবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
জানা যায়, রবিবার বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে শ্রমিক দলের আয়োজনে সাদেক হোসেন খোকার আরোগ্য কামনায় মিলাদ মাহফিল ছিল। তারপরই সংঘর্ষ বাঁধে। শ্রমিক দলের ধানম-ি শাখা কমিটি গঠনের বিরোধ থেকে বাবুল ও কাউসারের উপর হামলা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী বিএনপিকর্মীরা জানিয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত কাওসার বলেন, বিকেলে তারা মিলাদ পড়তে পার্টি অফিসে আসেন। এ সময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ৭-৮জনের একটি গ্রুপ তাদের ওপর হামলা করে। এদিকে সংঘর্ষের পর শ্রমিক দলের কর্মীরা বাবুল ও কাউসারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছিল বলে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান। তিনি বলেন, তারা বলেছিল, ছাত্রদলের লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে বাবুলকে লালমাটিয়া সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে ধানমন্ডির সিটি হাসপাতালে নেয়ার পর রাতে বাবুলের মৃত্যু হয় বলে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন জানান। তিনি বলেন, মূলত শ্রমিক দলের ২ পক্ষে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। তখন ছাত্রদলের একটি অংশ এর একপক্ষ নেয়। বিএনপি অফিসের সামনের রাস্তায় শ্রমিক দলের সরদার গ্রুপ ও শহীদ গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। এসময় শহীদ গ্রুপকে ছাত্রদল সহযোগিতা করে।
এবিএন/সোম/রাজনীতি/ডেস্ক/এমআর