ঢাকা, ২১ মে : এবার গার্মেন্টস শ্রমিকদের তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি যাবতীয় তথ্য নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেইস তৈরির কাজ শুরু করেছে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সরকারের নির্দেশনায় বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত এ ডাটাবেইসে দেশের সাড়ে ৬ হাজার গার্মেন্টসে প্রত্যক্ষভাবে কর্মরত ৪৫ লাখ শ্রমিককে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বীমা এবং ক্ষতিপূরণ দিতে এ ডাটাবেইস জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। আর এ পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি মে মাস পর্যন্ত ঢাকার অন্তত ১ হাজার গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের এ ডাটাবেইজের আওতায় আনা হয়েছে। আর চট্টগ্রামে এ সংখ্যা আড়াইশ।
বর্তমানে দেশে বিজিএমইএর অন্তর্ভুক্ত সাড়ে ৬ হাজার গার্মেন্টসে মোট শ্রমিকের সংখ্যা কত কিংবা প্রতিটি গার্মেন্টসে কত শ্রমিক কর্মরত রয়েছে, নারী-পুরুষের হার কেমন- তার কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য কারো কাছেই নেই। বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় ঢাকার তাজরীন ফ্যাশন এবং রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর। দুর্ঘটনা কবলিত ভবনে কতো সংখ্যক শ্রমিক ছিল তা নিয়ে এখনো বিভ্রান্তি কাটেনি।
ওই পরিস্থিতির পর বর্তমান অবস্থায় বিজিএমএর পক্ষ থেকে শুরু করা হয় গার্মেন্টস ওয়ার্কার ডাটাবেইজ তৈরির কাজ। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি মাঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন, শ্রমিকদের স্বার্থে আমরা এ ডাটাবেইজ তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। এটা যদি আমরা বাস্তবতার নিরিখে প্রতিফলন করতে পারি তাহলে আমরা জানতে পারব কোন গার্মেন্টসে কত জন শ্রমিক ছিল।
রানা প্লাজা ধ্বসের পর গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে গ্রুপ বীমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ বীমার ক্ষতিপূরণ পেতে হলে অবশ্যই ওয়ার্কার ডাটাবেইসে নাম থাকতে হবে। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে দেশের সবগুলো গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মালিককে তাদের শ্রমিকদের তথ্য প্রেরণ বাধ্যতামূলক উল্লেখ করে নোটিশ দেয়া হয়েছে। বিজিএমইএর পরিচালক মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহ বলেন, ভবিষ্যতে আমরা এটা জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে যুক্ত করে দেব। এর মাধ্যমে আমরা যে কোন সময় একজন শ্রমিক সম্পর্কে সমস্ত তথ্য একসাথে পাব।
এবিএন/শনি/এক্সক্লুসিভ/অর্থনীতি/ডেস্ক/মাম