ঢাকা, ২৩ মে : অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার কারণে আইলার চেয়ে রোয়ানুতে প্রাণহানি অনেক কম হয়েছে। সর্বশেষ আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুতে ২৬ ব্যক্তির প্রাণহানি হলেও ৭ বছর আগের আরেকটি মৌসুমি ঝড়ে এ সংখ্যা ছিল ২০০ জন। এ ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রাণহানির দিক থেকে বিবেচনা করলে ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড় আইলা অপেক্ষা রোয়ানুতে তা ১০ গুণ কম। আর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এম. রিয়াজ আহমেদ বলেন, আমাদের আগাম ও যথাযথ প্রস্তুতির কারণে ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপকতার তুলনায় রোয়ানু খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি। পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট অন্যরাও বলছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে কম হয়েছে।
রিয়াজ আহমেদ জানান, আবহাওয়া দপ্তর যখন বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের খবর জানায়, তখন থেকেই জীবন রক্ষায় জনগণকে সরিয়ে নেয়ার জন্য ব্যাপক প্রচারণাসহ অনেকগুলো উদ্যোগ তারা নিয়েছেন। তিনি বলেন, দুর্গত মানুষদের সহায়তার লক্ষ্যে ৩ হাজার ৫০০ টন খাদ্যশস্য ও ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলে আমাদের জেলা কার্যালয়গুলোর কাছে ৩ হাজার টন খাদ্যশস্য ও ৪০ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে।
প্রসঙ্গত দেশের ১৮টি উপকূলীয় জেলার মধ্যে ১৪টির এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর জন্য ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্কেত যখন ‘বিপদ সঙ্কেত’-এ রূপ নেয় তখন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের আহবানে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় উপকূলীয় জেলাগুলোয় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি বাতিল করা হয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এর ফলে ৫ লাখ লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়, যদিও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন ২১ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি তাদের ছিল।
এবিএন/সোম/এক্সক্লুসিভ/জাতীয়/ডেস্ক/লাম