ঢাকা, ২৩ মে : এবার সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এক খবরে জানা যায়, জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (এসকাপ) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সংরক্ষণ ও মহাসাগরের টেকসই ব্যবহার, সমুদ্র ও সামুদ্রিক সম্পদ বিষয়ে ঐতিহাসিক বাংলাদেশ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। খবরে বলা হয়, গত ১৯ মে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ৫ দিনব্যাপী ৭২তম অধিবেশনের শেষের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকার প্রধান ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সর্বসম্মতিক্রমে এ প্রস্তাব অনুমোদন করে।
রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংহতি বিষয়ক ৭২তম অধিবেশনে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের টেকসই অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়ন অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ৫৩টি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘রিজনাল কোপারেশন ইন এশিয়া এন্ড দ্যা প্যাসিফিক টু প্রমোট দ্যা কনজারভেশন এন্ড সাসটেইনেবল ইউজ অব দ্যা ওশন্স, সীস এন্ড মেরিন রিসোর্স ফর সাটেইনেবল ডেভোলেপমেন্ট’ শীর্ষক প্রস্তাবটি কয়েক দফা আলোচনার পর ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহিত হয়।
বাংলাদেশের প্রস্তাবের বিবৃতিকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও শ্রীলঙ্কা এবং তারা বাংলাদেশের প্রস্তাবের কো-স্পন্সর। থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং এসকাপ-এর স্থায়ী প্রতিনিধি সাদিয়া মুনা তাসনিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ব্লু ইকোনোমির ধারণার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমরা আমাদের জাতীয় আকাঙ্খায় বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদ পরিবেশবান্ধব উপায়ে ব্যবহার করতে প্রথমবারের মত এসকাপ-এর টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ১৪-এর টেবিলে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০১৪ সালের ১-২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ব্লু ইকোনমি সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে যে ব্লু ইকোনোমির ধারণা প্রচার করা হয় তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রস্তাবটি মেনে নেয়া হয়েছে। তাজিক প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এসকাপ-এর ৭২তম অধিবেশনে ৫৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে বাংলাদেশের প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিতে গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এবিএন/সোম/অর্থনীতি/ডেস্ক/লাম