খালেদা জিয়ার সাথে ইইউ পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাত–‘ইইউ বাংলাদেশে নিরপেক্ষ ও যোগ্য নির্বাচন কমিশন দেখতে চায়’

 

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে আজ বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক করেছে ইউরোপিয় পার্লামেন্টের (ইউপি) বাণিজ্য সংসদীয় দল।

ইউরোপিয় পার্লামেন্টের সদস্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রতিনিধি দলের চেয়ারপারসন ব্র্যান্ড লিনজ এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোয়া একঘণ্টার এই বৈঠক হয়।

বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ইউরোপিয় দেশসমূহের সাথে বাণিজ্যে প্রসার, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ইউরোপিয় পার্লামেন্টের ট্রেড কমিটি দেখতে চান, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার রক্ষা হউক। একই সাথে তারা চান, যোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন হউক।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিধি দলটিকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়টি অবহিত করেছি। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে তাদের সাথে বানিজ্যে সম্প্রসারণ কতটুক টেকসই হবে- তাও আমরা ব্যাখ্যা করে বলেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ইউরোপিয় পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক ট্রেড কমিটির এই প্রতিনিধি দলটি বিশ্বাস করে, যেসব দেশের সাথে ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলোর বাণিজ্য সম্পর্ক থাকবে, সেসব দেশে যেন গণতন্ত্র চর্চা হয়, আইনের শাসন থাকে, মানবাধিকার রক্ষা করা হয়। বিশেষ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় এবং সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হয়।

ইউপির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরো মায়াদনও ছিলেন।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ, যোগ্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেখতে চায়। যাতে ওই কমিশন সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে। আজ সন্ধ্যায় ঢাকা সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট কমিটির প্রতিনিধি দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুলশানে তার কার্যালয়ে বৈঠক করে।10 বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এই কথ বলেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদের এখানে আসার মূল উদ্দেশ্য বাণিজ্য সংক্রান্ত। তারপরও তারা বলেছে শুধু বাণিজ্য নিয়ে আলোচনায় ফলপ্রসূ হয় না। যেহেতু ইউরোপীয় ইউনিয়ন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাদের সঙ্গে যারা ব্যবসা করবে তাদের সেখানে যাতে গণতন্ত্রের চর্চা হয়, মৌলিক অধিকার যেন রক্ষা করা হয়; বিশেষ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া যেন সুষ্ঠু এবং সব দলের অংশগ্রহণে মাধ্যমে নির্বাচন হয়, আইনের শাসন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটি তারা চায়।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।