ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট:
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বর্তমান অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে জ্বালানি তেলের দাম কমালে অর্থনীতিতে গতি বাড়বে। তাই জ্বালানি তেলের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে কি পরিমাণ কমানো হবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের প্রধান ব্রেন জে এতকেইনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে একটি প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। তারা প্রস্তাব দিলে আগামী ডিসেম্বরে সংসদ অধিবেশন বসার আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম কমালে বিদ্যুতের দামে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে। বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার সময় বাড়ার একটা সম্ভাবনা ছিল। তবে জ্বালনি তেলের দাম কমলে বিদ্যুতের দাম না কমলেও সে হারে বাড়বে না।
জ্বালানি তেলের দাম কমলে জনজীবনে তেমন কোনো স্বস্তি আসে না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এবার সবকিছু মনিটর করা হবে। তেলের দাম কমানোর ফল সবাই পাবে। সব কিছুর দাম কমে আসবে। জ্বালানি তেলের দাম কমলে পরিবহন খরচ কমবে। তবে বিদ্যুতের দাম কমবে না। কারণ বিদ্যুতের দাম (সমন্বয়) বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতি বিষয়ে খুব প্রশংসা করেছে। তবে অর্থনীতির এ ধারা অব্যাহত রাখতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে বলেও জানিয়েছে আইএমএফ। যেমন- বর্তমানে বিনিয়োগের অবস্থা আশাব্যঞ্জক। তবে এর গতি আরো বাড়াতে হবে। অর্থাৎ অর্থনীতির এ গতি অব্যাহত থাকবে কিনা সেটাকেই তারা বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছে।
মুহিত বলেন, চ্যালেঞ্জ আছে সেটা আমরাও জানি। যে রাস্তায় আমরা যাচ্ছি আগামীতে সে রাস্তায় কীভাবে থাকতে পারি। একই সঙ্গে গতিটা কীভাবে বাড়াতে পারি সে বিষয়ে আমরাও গুরুত্ব দিচ্ছি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ এপ্রিল সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমায় সরকার। এর মধ্যে অকটেন ও পেট্রল প্রতি লিটারে ১০ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটারে তিন টাকা করে কমায়। ফলে লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা, কেরোসিন ৬৫ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রল ৮৬ টাকায় বিক্রি হয়। এরও আগে গত ৩১ মার্চ ফার্নেস তেলের দাম প্রতি লিটার ৬০ থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।