ক্রাইমবার্তা রিপোট:নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রস্তাবকে অন্তঃসারশূন্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছন, ৪৫ মিনিটের অন্ত:সারশূন্য বক্তব্যে মনে হয়েছে তিনি জনগণের উপর আস্থাশীল নন। খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতিকে উদ্যোগ নেয়ার জন্য যে প্রস্তাব রেখেছেন, তা হাস্যকর। কারণ, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের ব্যাপারে আন্তরিকতা দেখালেও খালেদা জিয়া তাতে সাড়া দেননি।
বিএনপি চেয়ারপারসন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব জানানোর পর আজ শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তবে এ সময় তিনি বলেন, বিএনপির প্রস্তাবনায় ভালো কিছু থাকলে তা রাষ্ট্রপতিই বিবেচনা করবেন। কাকে ডাকবেন, কাকে ডাকবেন না এটি সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার।
সংবাদ সম্মেলন আরো উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন খসরু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ, আল মাহমুদ স্বপন, মহিবুল হাসান চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন, বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাব সম্পূর্ণভাবে প্রত্যখ্যান করেছেন কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে তিনি ওবায়দুল কদের বলেন, নির্বাচনের ব্যাপারে সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। সংবিধান থেকে বিচ্চ্যুতি হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এসময় তিনি বলেন, কোনো বিষয়ে সংলাপের প্রস্তাব করার আগে যুদ্ধাপরাধ ও তার ছেলের (খালদা জিয়া) দুর্নীতির ব্যাপারে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি অ্যাক্ট করার কথা বলেছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া তিনবার ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি করেননি কেন? বিএনপি সংসদে নেই। এটি দুঃখের ব্যাপারে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে গণতন্ত্রের ইতিহাস ভিন্নভাবেও লেখা যেত। নির্বাচন কমিশন নিয়ে কেবল তাদের সাথেই আলাপ হতে পারে, যারা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
স্বাধীনতার পর যারা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তাদের সাথে আলোচনার ব্যাপারে তিনি বলেন, যে দল মানবতাবিরোধী অপরাধে সম্পৃক্ত, যারা যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক এবং যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তাদের সাথে কোনো আলোচনা হতে পারে না এবং এটি স্থায়ী সিদ্ধান্ত। আমরা যা বিশ্বাস করি, তাই বলি। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার মতো ভাঙা রেকর্ড বারবার বাজাতে চাই না।
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ে বৈঠক হতে পারে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত এমন কোনো বৈঠকের প্রয়োজন নেই।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো উদ্যোগ নেবে কিনা এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা সংবিধান ফলো করবো।