ক্রাইমবার্তা রিপোট:রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরির মোড়ের ধানমণ্ডি ১ নম্বর রোড থেকে গত ১৫ অক্টোবর অপহৃত চিকিৎসক ইকবাল মাহমুদকে উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম. ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই চিকিৎসকের বাবা এ কে এম নুরুল আলমের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ডা. ইকবাল মাহমুদকে উদ্ধারে নিষ্ক্রিয়তা কেন কর্তব্যে অবহেলা হিসেবে গণ্য করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
স্বরাষ্ট্র সচিব,পুলিশের আইজি, ডিএমপি’র কমিশনার, র্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, গত ১৫ অক্টোবর রাত ৩টা ১০ মিনিট। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রয়েল কোচ নামে একটি বাস সায়েন্স ল্যাবরেটরির মোড়ে ধানমণ্ডি ১ নম্বর রোডের কাছে এসে থামে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইকবাল মাহমুদ ওই বাস থেকে নেমে দাঁড়ালেন। সঙ্গে সঙ্গে সাত-আটজন তাকে ঘিরে ধরে এবং খুব দ্রুত মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। মাইক্রোবাসের পেছনে পুলিশের একটি পিক-আপ ভ্যানও যেতে দেখা গেল। অপহৃত ওই চিকিৎসকের কোনো খোঁজ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
মুহাম্মদ ইকবাল মাহমুদ ২৮তম বিসিএস পাস করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে কাজ শুরু করেন। সেখান থেকে তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বদলি হন। গত ১০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অবেদনবিদ্যায় (অ্যানেসথেশিয়া) দুই মাসের প্রশিক্ষণ নিতে ঢাকায় আসেন। অপহৃত চিকিৎসকের স্ত্রীও পেশায় চিকিৎসক। ছেলে-মেয়ে নিয়ে লক্ষ্মীপুরে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে ইকবাল মাহমুদ ওই রাতে ঢাকায় ফিরছিলেন।
অপহৃত চিকিৎসকের বাবা এ কে এম নুরুল আলম জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ওই দিনই ধানমণ্ডি থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করেছে। পরদিন রাত ১২টার পর পুলিশ মামলা নেয়। মামলার এজাহারে তিনি সিসিটিভির ফুটেজে যা দেখেছেন, তার বিবরণ দেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দোকানদার ও রিকশাচালক ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু পুলিশ ওই ঘটনার তদন্তে কোনো অগ্রগতির কথা জানাতে পারেনি।