রোববার দুপুরে শহরের নবাববাড়ি সড়কে দলীয় কার্যালয়ের পাশে সড়কে কেক কাটার অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। দায়িত্বশীল নেতারা দাবি করেছেন, ছবি তোলা নিয়ে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে জেলা বিএনপির উদ্যোগে রোববার দুপুরে শহরে নবাববাড়ি সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় ওই কেক কাটার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা আলী মুকুল, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা পপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নেতাদের বক্তব্য শেষে জন্মদিনের কেক কাটার সময় হঠাৎ করে নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষই মারমুখী হয়ে উঠে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে কেক দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে নেয়া হয়।
এ সময় কেক রাখার টেবিলও ভাংচুর করা হয়। আশপাশে থাকা পুলিশ এসে ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে দু’পক্ষকে ছত্রছভঙ্গ করে দেয়।
পরে পুলিশ জেলা বিএনপি সভাপতি সাইফুল ইসলামকে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ দুরত্বে নিয়ে যায়।
জেলা বিএনপি সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, ‘জন্মদিনের কেক কাটার অনুষ্ঠানে কোনো কিছুই ঘটেনি; শুধু পুলিশ বাঁশি বাজিয়েছে।’
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা পপন জানান, দুপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কে মঞ্চ করলে সদর থানার পুলিশ তা ভেঙে দেয়। এরপর পুলিশের অনুমতি নিয়ে সেখানেই কেক কাটার আয়োজন করা হয়।
এ সময় ছবি তোলার জন্য জুনিয়র নেতাকর্মীরা বিশৃংখলা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলে পুলিশ হালকা লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।