ক্রাইমবার্তা রিপোট:পাইকগাছা আলোকিত পৌরসভা নামে খ্যাত এ পৌরসভাটি চলছে যত্রতত্রভাবে। কাঁচা বাজার চাঁদনী না থাকায় বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। দেখার কেউ নেই। কর্তৃপক্ষ নিরব। স্বচ্ছ পৌরসভার দাবী জানিয়েছেন পৌরবাসী।
জানা যায়, পাইকগাছা পৌর সদরের কাঁচা বাজারের অবস্থা বেহাল ও এলোপাতাড়ী। বাজারে কোন চাঁদনী না থাকায় পৌর অভ্যন্তরে যে যার মত বাঁশ খুটি পুঁতে জায়গা দখল করে রেখেছে। ব্যবসায়ী ছাড়াও একাধিক ব্যক্তি জায়গা দখল করে রেখে অন্যত্রে বিক্রয় করছে। এক ব্যক্তির একাধিক জায়গা দখলেরও অভিযোগ রয়েছে। দেখা যায়, কাঁচা বাজারের ৪০-৫০ টি ব্যবসায়ির পজেশন থাকলেও ব্যবসা করছে মাত্র ৫/৬ জন ব্যবসায়ী। অন্য খুঁটি পুঁতে সেখানে কাঠ ও চাটাই দিয়ে ধরে রেখে এ জায়গা। সে কারণে ভ্রাম্যমান কাঁচা মাল ব্যবসায়ী বা বাইরে থেকে আসা ব্যবসায়ীরা বসার জায়গা না পেয়ে ফুটপাত দখল করছে। আর অবৈধভাবে কাঁচা বাজার দখলকারীরা তাদের পজেশন ১০-১৫ হাজার টাকা করে বিক্রি করছে। উক্ত বাজার পৌর কর্তৃপক্ষ বা ইজারাদারের নিয়ন্ত্রণে না থাকায় হ-য-ব-র-ল ভাবে চলছে কাঁচা বাজার। যদি কর্তৃপক্ষ বাজার তাদের নিয়ন্ত্রণ রাখত তাহলে ফুটপাত দখলের প্রবণতা কমে যেতো এবং সকলেই একইস্থানে ব্যবসা করলে ক্রেতাদের ছুটা-ছুটি করা লাগত না। অবাস্তব হলেও সত্য, পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও কাঁচা বাজারের চাঁদনী থাকলেও পৌর সদরে তা নাই। যে কারণে পূরানো দিনের ন্যায় বাঁশ খুঁটি দিয়ে তৈরী রয়েছে দোকানপাট। কাঁচা বাজারের সভাপতি কামরুল ইসলাম জানান, কিছু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ব্যবসা না করে জায়গা দখল করে রাখায় প্রকৃত বা বাইরে থেকে আসা ব্যবসায়ীরা বসার জায়গা পায় না। ফুটপাতসহ সেখানে এলোপাতাড়ীভাবে সেখানে বসতে হয়। এছাড়া বাজারে চাঁদনী না থাকার কারণে এ জটিল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যারা ব্যবসা করছে না তাদের কোবল থেকে কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে দখল উচ্ছেদ করতে পারে। পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, কাঁচা বাজারে অচিরেই যারা ব্যবসা করে না তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে এবং চাঁদনীর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এলাকার সচেতনমহল স্বচ্ছ পৌরসভা গড়ার লক্ষ্যে কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের যত্রতত্র ব্যবসা না করে একইভুত করার জন্য এবং বাজার চাঁদনী স্থাপনের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাইকগাছা ৭টি ইউনিয়নের ২১৮.৯৪০ মেট্রিক টন রেশনের চাল বিতরণ শুরু
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা সকল জ্বলনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ৭টি ইউনিয়নের ৮ হাজার ৫৫৩ টি পরিবারের মধ্যে ২১৮.৯৪ মেঃটন রেশনের চাল বিতরণ শুরু। হতাশায় রয়েছে ৩টি ইউনিয়নের কার্ডধারী পরিবার। জনপ্রতিনিধি ও সরকারী দলের নেতাদের মতানৈক্যের কারণে সমস্যাটির সৃষ্টি। দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। গতকাল প্রতিটি ইউনিয়ন ছিল প্রাঞ্চল্য।
বাংলাদেশ সরকার হতদরিদ্র্যদের মাঝে ১০ টাকার চাল বিতরণের জন্য প্রতি ইউনিয়নে রেশন কার্ড বিতরণ করে। সরকারী নিয়মানুযায়ী তালিকা তৈরীর জন্য জনপ্রতিনিধির সাথে সরকারী দলের মতনৈক্যের কারণে চাল বিতরণ থমকে দাঁড়ায়। আবার অনেক জনপ্রতিনিধি তাদের পছন্দ বা নির্বাচনী কর্মীদের নামে তালিকা তৈরী সমস্যার সৃষ্টি হয়। দরখাস্ত চালাচালী চলে উপজেলা নির্বাহী অফিসসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট। ফলশ্র“তিতে রেশন কার্ডের চাল বিতরণ বন্ধসহ মামলা মোকদ্দমার সৃষ্টি হয়। চলে যায় রেশন কার্ডের চাল। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের সাথে জনপ্রতিনিধিদের একাধিকবার বসাবসিতে ৭টি ইউনিয়নে সমস্যা সমাধান হলেও এখনও পর্যন্ত ৩টি ইউনিয়নে সমন্বয়হীনতার কারণে বন্ধ রয়েছে। গত মঙ্গলবার ইউনিয়নগুলোতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে শতশত দরিদ্র কার্ডধারীদের উপস্থিতিতে চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়। সোলাদানা বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলীর উপস্থিতিতে ইউপি চেয়ারম্যান এস,এম, এনামুল হক চাল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এখানে ৩৭.২০০ মেঃটন চাল, ১২৬৫ জন রেশন কার্ডধারী ১০ টাকা মূল্যের চাল ক্রয় করতে আসেন। কপিলমুনি ১৮৬৭ জন রেশন কার্ডধারী ৫৫.৫৩০ মেট্রিন টন, লস্কর ১১৫৮ জন কার্ডধারী ১৭.৩৪০ মেট্রিক টন, গড়ইখালী ১২৯০ জন কার্ডধারী ৩৮.১৩০ মেট্রিক টন, রাড়–লী ১৪৭৯ জন কার্ডধারী ৪৪.৩৪০ মেট্রিক টন, দেলুটি ৮৮০ জন কার্ডধারী ২৬.৪০০ মেট্রিক টন, লতা ৬১৪ জন কার্ডধারী ১৮.৪২০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ কার্যক্রম চলছে। বাকী হরিঢালী, চাঁদখালী ও গদাইপুর ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধি ও সরকারী দলের মধ্যে তালিকা প্রণয়নে সমন্বয়হীনতার কারণে সমাধান হয়নি।
খানজু সভাপতি : ইউছুপ সম্পাদক
পাইকগাছায় সোলাদানার ইঞ্জিনচালিত ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়ন ইঞ্জিনচালিত ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হকের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও ইউপি সদস্য ঠাকুর দাশ সরদারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২২৩ জন ভোটারের মধ্যে ১৪৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সভাপতি পদে মোঃ খানজু গাজী ছাতা প্রতীকে ১২৬ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকট প্রার্থী নাছরুল শেখ চেয়ার প্রতিকে পেয়েছেন ২১ভোট।সম্পাদক পদে ইউছুপ সরদার মোরগ প্রতীকে ১০৯ ভোট, নিকটতম প্রার্থী মতিয়ার ৩২ ভোট পেয়েছেন। সহ সভাপতি ৩টি পদের বিপরীতে পাঁচ জন প্রার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে মোস্তফা সরদার আনারস প্রতীকে ১২৭ ভোট, শহীদ মোল্যা দোয়াত কলমে ১২৫ ভোট,, শফিকুল গাজী গোলাপফুলে ১২৭ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী মোস্ত মালী হরিনে ৩৩ ও জলিল বিশ্বাস মোমবাতিতে ১৪ ভোট পেয়েছেন। লাইন সেক্রেটারী আলমগীর গোল্দার টিউবওয়েলে ১০২ ভোট পেয়ে নির্বাাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম মানিক শেখ তালাচাবীতে ৪৫ ভোট। সদস্য পদে মুজিবর রহমান টিয়া পাখিতে ৯২ভোট, ইয়াছিন জোয়াদ্দার মই প্রতীকে ৭২ ভোট, শফিকুল ইসলাম হাস প্রতীকে ৬৯, এবং মোঃ ইউছুপ সাইকেল প্রতীকে ৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ইউপি সদস্য আবু সাঈদ মোল্যা।সহকারী কমিশনার ছিলেন ইউপি সদস্য বি এম আরেফিন আলী ও মোঃ আবুল কাশেম।