ক্রাইমবার্তা রিপোট:রায় ফাঁসের মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে কেন সাজা দেয়া হবে না এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদেরকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। আদেশের কপি পাওয়ার ৬ সপ্তাহের মধ্যে তারা আত্মসমর্পণ করতে বলা হেয়েছ। আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিন বিবেচনা করতে বিচারিক আদালতকে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রায় ফাঁসের মামলার এক আসামির আপিল এডমিশনের শুনানিকালে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের ডিভিশন বেঞ্চ স্বতোপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। এছাড়া তাদের খালাস দেয়া নিম্ন আদালতের রায় কেন বাতিল করা হবেনা রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
গত ১৩ সেপ্টম্বর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলা থেকে তার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে খালাস দেন আদালত। তবে তার আইনজীবীসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন আদালত। বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক কে এম শামসুল আলম এ রায় দেন।
রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুররী ছেলে ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ হাজির করতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই তাদের খালাস দেওয়া হলো। তবে রায় ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকায় সাকার আইনজীবী ফখরুল ইসলামের ১০ বছর কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড।
এছাড়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ম্যানেজার মাহবুবুল আহসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী ও ফারুক হোসেনের সাত বছরের ৭ বছর এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো ছয় মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
সাজার ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মাহবুবুল আহসান। মঙ্গলবার ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণের আবেদরের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার সাজ্জাদ আলী চৌধুরী ও শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো.শহীদুল ইসলাম খান।