প্রশ্নটা অনেকের মনেই থাকতে পারে। এর পুরোপুরি উত্তর না মিললেও এই ঘটনাটা পড়ার পরে কিছুটা কৌতূহল তো মিটবেই। অস্ট্রেলিয়ার এই মহিলা রক্ত পান করেন। যিনি রক্ত পান করেন, তাকে কি আর মানুষের দলে ফেলা যায়? তবে কোনো মানুষের রক্ত তিনি পান করেন না। পান করেন শুকরের রক্ত।
তার নাম জর্জিনা কন্ডন। তিনি কিন্তু কখনও ভ্যাম্পায়ার বা পৈশাচিক কোনও কিছুর সঙ্গে নিজের তুলনা করেন না। নিজেকে দেবী বলতেই বেশি ভালো লাগে তার। যখন তিনি থাকেন তার দৈব সত্বায়, তখন তার নাম এসথার। গডেস এসথার। এই দেবীকে বলা হয় নবজীবনের দেবী।
২৯ বছরের জর্জিনা টিনএজার বয়স থেকেই রক্ত পান করা শুরু করে। এখন তিনি রক্ত খেতে না পারলে তার ভালো লাগে না বলে জানালেন নিজেই।
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের সংবাদ অনুযায়ী, জর্জিনা খুব ছোটবেলা থেকেই রক্তাল্পতায় ভোগেন! একদম অল্প বয়স থেকেই শুকরের রক্ত পান করে চলেছেন তিনি।
জর্জিনা বলেন, পানির মতোই রক্তও তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমি রক্ত খাই যখন আমি বই পড়ি, অবসরে বসে থাকি, টিভি দেখি বা যখন রঙ করি।’
জর্জিনা সকাল শুরু করেন রক্ত খেয়ে। তার মতে তিনি রক্ত খেলে এনার্জি পান। শুকরের রক্ত না হলে তিনি দিন শুরু করতে পারেন না।
তিনি কখনো এই রক্ত তার প্রিয় স্ন্যাক খাওয়ার সময় গ্লাসে করে খান। কখনো বা কোন কিছুর সঙ্গে রান্না করে খান।
সব রক্তই সমান না। এ কারণে তিনি গরুর রক্তর থেকে শুকুরের রক্তই খেতে বেশি পছন্দ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি শুকরের রক্ত খেতে পছন্দ করি। কারণ এটি গরুর রক্ত থেকে কিছুটা নোন্তা।’