ক্রাইমবার্তা রিপোট:নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (নাসিক) বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, একটি প্রতীক গণতন্ত্র হরণের বিপরীতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতীক ধানের শীষ। নারায়ণগঞ্জের মানুষ হারানো ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। এবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ধানের শীষে ভোট দিতে চায়। লেভেল প্লেয়িং কন্ডিশন বজায় রাখা দরকার। আমরা প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চাই।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে সিটি করপোরশেন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি অভিযোগ করে সাখওয়াত বলেন, উৎসবমুখর, অবাধ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চাই। নারায়ণগঞ্জের মানুষ জেগে ওঠেছে। তারা পরিবর্তন চায়। একই মুখ বারবার দেখতে চায় না সিটিবাসী।
বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এ মেয়র প্রার্থী বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এমনকি নির্বাচনের জন্য বৈধ অস্ত্র জমা নিতে হবে। সন্ত্রাসীরা যাতে কোনো সুযোগ নিতে না পারে সে জন্য দলবাজ বর্তমান প্রশাসনকে বদলি করতে হবে। এ প্রশাসনের জন্য আলোচিত সাত খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের যেন হাত-পা বেঁধে ফেলা না হয়।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ৬৫ ভাগ ভোট বিএনপি পাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে নির্বাচন কমিশন সরকারের কাছে সেনাবাহিনী চেয়েও পায়নি। সেজন্য আমরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। মধ্যে রাতে বসানোর সুযোগে এবার নেই। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকবো। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি নির্বাচনের মাঠে থাকবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি কাজী মনিরুজ্জামান, নগর বিএনপির সেক্রেটারি এ টি এম কামাল, সাবেক তিনজন এমপি আবুল কালাম, গিয়াসউদ্দিন ও আতাউর রহমান আঙ্গুরসহ অনেকে।