এ সময়ে আব্দুর রব বলেন, এক থেকে দুই মাস আগে কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। তারপরও হীন উদ্দেশ্যে বাগেরহাটের যে সকল স্থানে সভা সমাবেশ করা যেতে পারে সকল স্থানে সরকারি দলের এজেন্টরা লাঠি-সোটা, বোমা-বারুদ নিয়ে অবস্থান নিয়ে সভা সমাবেশ করেতে বাধা দেয়। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ আমাদের সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। এটা মেনে নিতে পারে না। এখন এটি বাগেরহাট, রামপাল বা আমাদের দেশের দাবি নয়। সারা বিশ্বের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আজকে টিচাগাংয়ের টানেল, রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সমস্ত বিদেশী পণ্যের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। তাদের দেশের পচা মালগুলো বাংলাদেশে এনে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
এ সময়ে আব্দুর রব অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি সোহরাওয়ার্দি উদ্যোনে আওয়ামী লীগের মিটিং করতে পারে তাহলে বিরোধী দল বাংলাদেশের কোনো জায়গায় মিটিং করতে পারবে না কেন? অনেক মুক্তিযোদ্ধার রক্তের বিনিময়ে এদেশ সৃষ্টি হয়েছে। এদেশ মিটিং-মিছিলের দেশ। আজ সেই দেশে মিটিং-মিছিল নেই। সরকারি দল ছাড়া কর্তৃত্ববাদী সরকার আর কাউকে মিটিং-মিছিল করতে দেবে না। তিনি পাকিস্তানিরাও এই ধরনের আচরণ করেনি বলে উল্লেখ করেন।
এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বাগেরহাট জেলা সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
উল্লেখ্য জেএসডি এর পক্ষ থেকে বাগেরহাটের পুরাতন শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সুন্দরবন রক্ষার্থে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রামপাল থেকে সরিয়ে নেয়ার দাবিতে রামপাল অভিমূখী মিছিল ও সমাবেশ ছিল। সেই কর্মসূচি পালনের জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে হল ভাড়াসহ প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু বুধবার হঠাৎ করে ওই একই স্থানে বাগেরহাট জেলা তাঁতীলীগের পক্ষ থেকে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র দ্রুত নির্মাণের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিলের ডাক দেয়। এই ঘটনার পর উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
পরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার বিকালে বাগেরহাট সার্কিট হাউজে জড় হয়। সেখান থেকে আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে মিছিল বের হতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে সার্কিট হাউজের গেটে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
Check Also
ক্ষমতায় গেলে নারীদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে জামায়াত : ডা. শফিকুর রহমান
ক্ষমতায় গেলে নারীদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে জামায়াত মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির …