ক্রাইমবার্তা রিপোট:রাণীশংকৈল প্রতিনিধি
ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল যদুয়ার গ্রামের মহরুম ফয়জুল্লাহর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা লতিব মুক্তিয়ারের কবরটি পড়ে আছে অবহেলা আর অযতেœ । নেকমরদ ঠাকুরগাও মহাসড়ক সংলগ্ন ভানর উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পার্শে নেংটিহারি নামক স্থানে চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের জুলাই মাসের পড়ন্ত বৈকাল। ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় পাক বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। নেংটিহারা নামক স্থানে মেজর সিদ্দিক নিজ হাতে গুলি করে মেরে ফেলে। তিনি নেকমরদ সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ছিলেন। পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বাঙ্গালীদের ঐক্যবদ্ধ হতে অগ্রনী ভূমিকা রেখেছিলেন।
ঝলঝলি ভানর গ্রামের মোঃ কফিলউদ্দি বলেন, ঠিক বৈকাল বেলা আমার চোখের সামনে যদুয়ার গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক লতিব মুক্তিয়ার ও আলোকচেরি পলাশবাড়ি গ্রামের সমির বাবুকে পাকিস্থানী সেনারা গুলি করে হত্যা করে। শিয়ালদারের আব্দুল মেম্বার সহ তখন আমি ঘটনাস্থল থেকে কিছুদুরে পাট ক্ষেতে লুকিয়ে স্বচক্ষে দেখি। পাক সেনারা চলে গেলে আমরা সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচি।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ কাদের বলেন, রাণীশংকৈলে প্রথম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা লতিব মুক্তিয়ার। বাড়ি থেকে ৫ কিঃ মিঃ দুরে তার কবরটি অবহেলা অযতেœ রয়েছে। বাড়ির কাছাকাছি আনলে আত্মীয় স্বজনরা এটির যতœ নিতে পারবে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কবরটি বাড়ির কাছাকাছি স্থানান্তর করার জোর দাবি জানান তিনি।
রাণীশংকৈলে পিকেএসএফের দায়সারা কর্মশালা
রাণীশংকৈল প্রতিনিধিঃ- ঠাকুরগায়ের রাণীশংকৈলে পিকেএসএফের অর্থয়ানে বিভিন্ন কর্মসুচি দায়সারা ভাবে পালন করেছেন ইএসডিও সংস্থা।
জানা যায়, ২৩ নভেম্বর উপজেলা পরিষদ হলরুমে পিকেএসএফের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মসুচীর আওতায় রাণীশংকৈলে শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক ও সরকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে সাং¯কৃতিক কর্মশালার আয়োজন করে। এ কর্মশালায় কোন সরকারী কর্মকর্তা, কবি, ক্রীড়া ও বিশিষ্ট কোন সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন না। গুটি কয়েক পরিচিত মুখ নিয়ে এসব কর্মশালা করে থাকে। এছাড়াও উপজেলায় ইএসডিও পিকেএসএফের অর্থয়ানে দায়সারা ভাবে বিভিন্নভাবে কর্মসুচী পালন করে থাকে। এ কর্মসুচির কথা উপজেলার কোন বিশিষ্ট ব্যক্তি বা জনপ্রতিনিধিরা ও জানেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক দায়িত্বে থাকা আমিনুল বলেন, আমাদের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রয়োজন মনে করিনি।