ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে, নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে তারাই এখন বেপরোয়া চালকের মতো রাজনীতির বেপরোয়া চালক হয়ে গণতন্ত্রকে রক্তাক্ত করার চক্রান্ত করছে। এসময় তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ নূর হোসেনের স্মরণে আওয়ামী মটর চালক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শেখর, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. কালু শেখ প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শহীদ নূর হোসেন যে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, আত্মবলিদান দিয়েছে, সেই গণতন্ত্র স্বৈরাচার থেকে মুক্তি পেলেও বিপদ থেকে মুক্তি পায়নি। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের যে অভিযাত্রা, সেই অভিযাত্রা কি ঝুঁকি মুক্ত? গণতন্ত্রের এ অভিযাত্রা হচ্ছে, গণতন্ত্রকে সংহত করা, প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া। এই যাত্রা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে, এই যাত্রা অনেক ঝুকিপূর্ণ।
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর পেট্রোল বোমা দিয়ে গাড়ির চালক পুড়িয়ে তারা পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে দেশের গণতন্ত্রকে। আজও গণতন্ত্রকে পুড়িয়ে মারার, গণতন্ত্রকে গুলি করে হত্যা করার, গণতন্ত্রকে রক্তাক্ত করার চক্রান্ত চলছে।
চালকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করবো বাচ্চাদেরকে, শিশুদেরকে ড্রাইভার বানাবেন না। যানজট আর দুর্ঘটনার জন্য দায়ি আমাদের মন-মানসিকতা। মন-মানসিকতার পরিবর্তন না হলে সড়কে শৃংখলা ফিরে আসবে না।
মহিলা চালক বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশে আরো মহিলা ড্রাইভার দরকার। মহিলাদের মাথা ঠাণ্ডা থাকে। মহিলারা গাড়ি চালালে ঝুঁকি থাকে না। পুরুষদের মধ্যেও অনেক দক্ষ চালক আছে, তা না হলে তো বাংলাদেশে খালি দুর্ঘটনাই ঘটতো। আপনারা যে দাবি জানিয়েছেন আমি প্রশিক্ষণের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারবো।