ক্রাইমবার্তা রিপোট:কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বলেছেন, জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুর খুনি বলা হয়। কিন্তু তিনি ভালো লোক ছিলেন। শফিউল্লাহকে (সাবেক সেনাপ্রধান) যদি খুনি বলা হতো তাহলে গর্ব করতাম।
রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে শুক্রবার সন্ধ্যায় এসব কথা বলেন। মওলানা ভাসানী অনুসারী পরিষদ মওলানা ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পিতা হলেন মওলানা ভাসানী। শেখ মুজিব না হলে জিয়াউর রহমান হতেন না, আমরা হতাম না। তারা একজন আরেকজনের সঙ্গে লতায়পাতায় জড়িত। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জিয়ার নামে যেসব আজেবাজে কথা বলা হয় তা ঠিক নয়। মুক্তিযুদ্ধে তার হিমালয় পরিমাণ অবদান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে খুনের পর জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর তিনি এর বেনিফিসিয়ারি ছিলেন বলেই তাকে খুনি বলা হয়। শফিউল্লাহ যদি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বেনিফিসিয়ারি হতেন তাহলে তাকেও বলা হতো। জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুর খুনি বলা হলেও তিনি ভালো লোক ছিলেন। শফিউল্লাহকে (সাবেক সেনাপ্রধান) যদি খুনি বলা হতো তাহলে গর্ব করতাম।
বিগত জোট সরকারের সময়ের উদাহরণ টেনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আজ থেকে প্রায় ১২ বছর আগে টাঙ্গাইলে রাস্তায় ৩০-৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলাম। কি কারণে? তারেক রহমান ওই রাস্তা দিয়ে যাবেন। তার সঙ্গে ২৮টা পাজেরো যেত। আজ তারেক লন্ডনে। আজ যাদের জন্য দেড়ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, তাদেরও একদিন পতন হবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. বি চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যান্যের মধ্যে সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. জসীম উদ্দিন আহমদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, জাতীয় পার্টির নেতা নবাব আলী আব্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।