ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সাময়িকভাবে হলেও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা যেত। কিন্তু ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ। পার্শ¦বর্তী দেশ মায়ানমারে মুসলমান রোহিঙ্গাদের ওপর যে অত্যাচার নির্যাতন চালানো হচ্ছে তাতে করে বাংলাদেশ সরকার নিশ্চুপ। কারণ এরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। তাই সরকারকে একটি বিষয় পরিষ্কার করতে হবে, হয় নৌকায় ভেসে আসা রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিন অথবা সাময়িকভাবে আগত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নিয়ে পরবর্তীতে কুটনৈতিক ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুণ।
বিএনপি প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ সরকার পার্শ্ববর্তী দেশ হিসাবে মায়ানমারে নির্যাতিত মুসলমাদের পাশে দাঁড়াবে, অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ভাসানী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫২ তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ আলোচনাসভার আয়োজন করে।
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, নীল নকশার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার পরিকল্পনা বিএনপির নাই। বিএনপি চায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন। অথচ ভোটবিহীন জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে থাকা আওয়ামী লীগ সেই সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে যাচ্ছে না। তারা জানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জামানত থাকবে না।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, বিএনপি না কি গণতন্ত্র হত্যা করেছে। অথচ বিএনপির ইতিহাস গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করা। একটি কথা স্পষ্ট করে বলছি বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বারবার হত্যা করেছে। তাই আবারো গণতন্ত্র হত্যার পায়তারা চালচ্ছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে তারেক রহমান দেশে ফিরে আসতে পারবে না। কারণ বিএনপি, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ষড়যন্ত্রের শিকার। তাই হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে হবে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনা ১/১১ সরকার ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দিনের সরকারের ফসল। তাই ক্ষমতায় এসে ১/১১ সরকারের ন্যায় হাসিনা সরকার খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা অব্যাহত রেখেছেন।