:এসে গেছেন ক্রিস গেইল। এবার বিপিএলে নিশ্চয়ই যোগ হবে বাড়তি রং। ক্যারিবীয় ওপেনারও জানিয়ে রাখলেন, দর্শকদের বিনোদন দিতে তিনি প্রস্তুত।
চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে খেলতে কাল সন্ধ্যায় ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন গেইল। আজ সকালে অনুশীলন করতে এসেছেন বিসিবি একাডেমি মাঠে। প্রতিবারই বিপিএলে ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলেছেন গেইল। এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৩টি সেঞ্চুরি তাঁর। ১০ ম্যাচে ৭৭.২৮ গড়ে রান ৫৪১। এবার নিশ্চয়ই চাইবেন আগের ধারাটা অব্যাহত রাখতে।
গেইল অবশ্য আশাবাদী, তাঁর ব্যাটিংয়ে হতাশ হবেন না দর্শকেরা, ‘কয়টি সেঞ্চুরি করেছি? দুইটি না তিনটি? পরিসংখ্যান নিয়ে কখনোই চিন্তা করি না। সব সময়ই মানুষকে যতটা সম্ভব বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করি। সিপিএলের পর চার–পাঁচ মাস ম্যাচ খেলিনি। খেলায় ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। টুইটারে অনেকেই বলছিল আমাকে মাঠে দেখতে চায়। ক্রিস গেইল ইজ ব্যাক!’
গেইল মানেই ব্যাটিং-তাণ্ডব আর বিশাল সব ছক্কার প্রদর্শনী। বিপিএল ১০ ইনিংসে ৫০ ছক্কা মেরে আছেন সবার ওপরে। ছক্কার কথা মনে করিয়ে দিতেই জ্যামাইকান ওপেনারের রসিকতা, ‘১০ ইনিংসে ৫০ ছক্কা? এবার ৪ ইনিংসে ৫৫টি হয়ে যেতে পারে! আমি ছক্কার জন্যই পরিচিত। সিক্স-মেশিন হিসেবে সবাই চেনে লোকে। সবচেয়ে ভালো পারি ছক্কা মারতে। আশা করি, কালকের উইকেট ভালো হবে। প্রথম ম্যাচে কিছুটা স্নায়ুচাপ থাকতে পারে। তবে এটাই জীবন। উপভোগ করতে চাই।’
এমনিতে টি-টোয়েন্টিতে অনেক রেকর্ডই গেইলের দখলে। তবে তাঁর সামনে একটি অনন্য রেকর্ডের হাতছানি, ২৭২ ম্যাচে তাঁর রান ৯৬৬৮। টি-টেয়োন্টিতে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার রানের মাইলফলক কি ছুঁতে পারবেন এই বিপিএলেই? উত্তরটা দিতে গিয়ে হাসিতে ফেটে পড়লেন গেইল, ‘৩০০ রান দরকার? আগেই আমাকে বলা উচিত ছিল আপনার। তাহলে শুরু থেকেই বিপিএলে খেলতাম! ১০ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়া হবে দারুণ ব্যাপার। আবারও বলছি, আগামীকালের শুরুটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যত দ্রুত সম্ভব মানিয়ে নিতে হবে। আমার মূল লক্ষ্য দলকে প্লে-অফে নিয়ে যাওয়া।’
এই তো গেইল, মাঠের বাইরে আমুদে আর ২২ গজে বোলারদের বারোটা বাজিয়ে দেওয়া!