যুবদল নেতা খোরশেদসহ ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

ক্রাইমবার্তা রিপোট:নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র বাছাই চলছে। শনিবার এক নং ওয়ার্ড হতে ১৮নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের বাছাইয়ে ১০জনের মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে বাতিল ঘোষণা করেছে রির্টানিং অফিসার। ভুল তথ্য, ঋণ খেলাপি, ও তথ্য গোপন করায় বেশির ভাগ প্রার্থির মনোনয়ন বাতিল করতে হয়েছে। জেলা বিএনপি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ভাই যুবদল নেতা মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। দুই দিনব্যাপী বাছাইয়ের প্রথম দিন সকাল ১০টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেড মিলনায়তনে ওই বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। রোববার বাকি ওয়ার্ড ১৯ নং হতে ২৭ নং ওয়ার্ডের বাছাই হবে। এদিন মেয়র প্রার্থীদের মনোনয়ন বাছাই অনুষ্ঠিত হবে।

রিটার্নিং অফিস সূত্র জানায়, বয়স কম থাকায় ৫নং ওয়ার্ডে গোলাম মো. তানভীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এবং তথ্য ভুল, ঋণ খেলাপী, তথ্য গোপন ও বয়স কম থাকায় ১নং সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর আবেদনকারী সুমন কাজী, ৩নং ওয়ার্ডে নূর সালাম, ৪, ৫, ৬ নং সংরক্ষিত আসনের মোসা. সুমি বেগম, ৭ নং ওয়ার্ডে আবুল কালাম দেওয়ান, ৮নং ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেন খোকন, ১২নং ওয়ার্ডে জিল্লুর রহমান লিটন, ১৩নং ওয়ার্ডের মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও শাহ ফয়েজউল্লাহ, ১৪নং ওয়ার্ডে দিদার খন্দকারের মনোনয়ন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, যাদের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারা নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কোনো প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এমন কনোন তথ্য পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রার্থিতা অবৈধ ও বাতিল ঘোষিত প্রার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও তাদের প্রার্থিতা বৈধ প্রমাণিত করার জন্য আগামী ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় রয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে ৯ জন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত (নারী) কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
নির্বাচনের ভোট হবে ২২ ডিসেম্বর। ৪ ডিসেম্বর হলো মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ।
একজন মেয়রের সঙ্গে ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট হবে। মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪১ হাজার ৫১৪ এবং নারী ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৮। ভোটার বেড়েছে প্রায় পৌনে এক লাখ। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১৭৪টি ও ভোটকক্ষ ১৩০৪টি। তবে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। ২০ নভেম্বরের মধ্যে ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত হবে। ১৬৩ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১২১৭ সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২৪৩৪ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোট নেবেন।
চলতি বছরের ২৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়াদ শেষ হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এটি দ্বিতীয় ভোট। তবে দলীয় প্রতীকে ভোট হবে এবারই প্রথম। ২০১১ সালে নির্দলীয় ওই নির্বাচনে শামীম ওসমানকে এক লাখের বেশি ভোটে হারিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র হন সাবেক চেয়ারম্যান আইভী। ২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা, সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা ও বন্দরের কদমরসুল পৌরসভা বিলুপ্ত করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। পরে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন হয়।

Check Also

প্রত্যেকটা অফিসের কেরানি পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের দোসর : আসিফ মাহমুদ

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।