ক্রাইমবার্তা রিপোট:রাজশাহীর তাহেরপুর পৌরসভায় ‘গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে’ বিয়ে করেছেন এক যুবলীগ নেতা; যাকে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে।
হুমকির কারণে মামলা করতে পারছেন না বলে দাবি করেছেন মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের অভিযোগ, পৌরসভার নূরপুর মহল্লা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ও পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যান ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি সোহেল রানা ও তার লোকজন।
এর আগে সোহেলের বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় স্কুলছাত্রীর পরিবার।
বাগমারা থানার ওসি সেলিম হোসেন বলেন, পুলিশ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছিল। সে সময় তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করে তিনি তার বাড়িতে রেখেছেন।
‘পরে পুলিশ মেয়েটিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের ডেকে আনে। তবে তার আগেই বিয়ে হয়ে যায়।’
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘যুবলীগের ১২ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী ছয়টি মোটরসাইকেলে করে এসে হামলা চালায়। তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে বাড়ির ভেতর ঢুকে পরিবারের নারী সদস্যসহ ছয়জনকে মারধর করে এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় মেয়রের বাড়িতে।
‘সেখানে নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে মেয়র তাদের বিয়ে দেন। তার বাড়িতে কাজি আব্দুল মালেককে আগেই এনে রাখা হয়েছিল। ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা যেন থানায় যেতে না পারে সেজন্য বাড়ির চারপাশে যুবলীগের কর্মীরা পাহারা দেয়।’
স্কুলছাত্রীর ভাই বলেন, ‘পরে লোক পাঠিয়ে মেয়রের বাড়িতে আমাদের ডেকে নেওয়া হয়। পুলিশের কাছে কোনো ধরনের অভিযোগ করলে পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দেন তারা। এ কারণে মামলা করার সাহস পাচ্ছি না।
অপহরণের সময় পৌর যুবলীগের সভাপতি আসাদুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কোরবান আলী, ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি মেয়েটির ভাইয়ের।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওই মেয়ের সঙ্গে সোহেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা সোহেলের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তুলে আনা হয়েছে।’