পাসপোর্ট জমা দেওয়ার পর এ দুই মামলায় পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনের আগ পর্যন্ত জামিনে থাকবেন মান্না। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। মাহমুদুর রহমান মান্নার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান।
এর আগে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় করা একটি মামলায় গত ৪ সেপ্টেম্বর এবং সেনা বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় করা মামলায় ১৪ নভেম্বর মান্নাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধের সময় গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি মাহমুদুর রহমান মান্নার দুটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। ফোনালাপে মান্না ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী এক ব্যক্তির সঙ্গে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের বিষয়সহ নানা প্রসঙ্গ উঠে আসে।
এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ধানমণ্ডির স্টার কাবারের সামনে থেকে মান্নাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ওই রাতেই মান্না ও অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করে পুলিশ। মামলায় মান্নার বিরুদ্ধে ‘সেনাবাহিনীকে উসকানি দেওয়াসহ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ আনা হয়।
এছাড়া ৬ মার্চ একই থানায় মান্নার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়। এ মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মান্নার পাশাপাশি বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাকেও আসামি করা হয়।
এ দুই মামলায় চলতি বছরের ২ ও ৭ মার্চ নিম্ন আদালতে মান্নার জামিন আবেদন নাকচ করা হয়। মান্না এরপর স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। সর্বশেষ ৩০ আগস্ট রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় এবং ১০ নভেম্বর সেনা বিদ্রোহে উসকানির মামলায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে জামিন দেন হাইকোর্ট।