স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, মিয়ানামারে রোহিঙ্গারা অমানবিক অত্যাচার আর নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে বাংলাদেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। কিছু প্রবেশ করছে। শরণার্থী শিবিরে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সুবিধাজনক সময়ে ফেরত পাঠানো হবে। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরণ দেখানো হচ্ছে। যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যারা সুস্থ তাদের ফেরত পাঠাচ্ছে বিজিবি।
তিনি আজ মঙ্গলবার বড়লেখা থানা কমপ্লেক্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে মৌলভীবাজার পৌঁছে প্রথমে জুড়ী থানা ভবনের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর নবনির্মিত বড়লেখা থানা কমপ্রেক্স ভবনের উদ্বোধন করেন।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মো. শাহাবুদ্দিন এমপি, সৈয়দা সায়রা মহসিন এমপি, আব্দুল মতিন এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ, পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো: তোফায়েল ইসলাম, মৌলভীবাজার পৌর মেয়র ফজলুর রহমান প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি আরো বলেন, নিজেদের দক্ষতা ও কর্ম তৎপরতার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জনগণের মন জয় করতে পেরেছে। পুলিশ এখন জনগণের বন্ধু, ১০ বছর আগে পুলিশের যে ভূমিকা ছিল, এখন আর তা নেই। পুলিশের সফলতা হিসেবে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ, কল্যাণপুর এবং মিরপুরে জঙ্গী দমনের কথা তুলে ধরেন।
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন জেলা পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করার জন্য যা যা করা দরকার প্রশাসন তাই করবে। কোনোভাবেই পেশী শক্তি ও কালো টাকার মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেয়া হবে না।
এছাড়া বিকেলে তিনি প্রধান অতিথি উপস্থিত হিসেবে বড়লেখা উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৯ নভেম্বর বড়লেখা থানা ভবনের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এতে সরকারের ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।