বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিগত সেনাসমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের হওয়া পৃথক তিন মামলায় এক মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টে। মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
একই সঙ্গে চাঁদাবাজির তিন মামলা ও আয়কর সংক্রান্ত আরো দুটি মামলার বিচার কার্যক্রমের ওপর দেয়া স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিচার কার্যক্রম চলার প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ফলে এসব মামলার বিচারকাজ চলতে আর কোনো আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
অপর দিকে তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন হাইকোর্টের রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, মুদ্রা পাচার মামলায় আইনের দৃষ্টিতে তারেক রহমান পলাতক। তাই আদালত এসব মামলায় রুল শুনানিতে তারেকের পক্ষে কোনো আইনজীবীকে অংশ নিতে দেননি।
২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের আমলে চাঁদাবাজির অভিযোগে গুলশান, শাহবাগ ও কাফরুল থানায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়। তারেক রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এই তিন মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেন আদালত।
অন্যদিকে ২০০৭ সালে ও ২০০৮ সালে আয়কর বিবরণীতে অসত্য তথ্য দেওয়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিম্ন আদালতে পৃথক দুটি মামলা করে। এই দুই মামলাতেও তারেকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল ও মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি এসব রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। নয় বছর ও আট বছর আগে হওয়া মামলায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রুল খারিজ করে রায় দেন আদালত।