এতে ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ তথ্য জানান।
কমিটির সদস্যরা হলেন- যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল এবং দলের অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।
সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জের দলবাজ প্রশাসনকে সরিয়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের বসিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান রিজভী।
তিনি বলেন, এর আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ব্যাপক অনিয়ম, সহিংসতা, ভোট ডাকাতি, খুন, জখম এবং প্রাণনাশের হুমকি ইত্যাদি অনাচার হয়েছে। কমিশনকে অবহিত করার পরও তারা আমলে নেয়নি। আশা করছি, নাসিক নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও প্রতিযোগীতামূলক করতে অতীতের সব অপকর্ম ঢেকে ফেলার জন্য ইসি শেষ সুযোগ গ্রহণ করবেন।
রিজভী আরও বলেন,আশা কারি, ইসি তাদের দায়িত্ব পালনের শেষ সময়ে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য নাসিক নির্বাচনে ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে সব উদ্যোগ গ্রহণ করতে সচেষ্ট হবেন। নারায়ণগঞ্জের দলবাজ প্রশাসনকে সরিয়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের বসিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশ নেবেন কিনা জানতে চাইলে- এ বিষয়ে পরে জানানো হবে বলে জানান রিজভী।
সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে রিজভী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীদের অভিযোগের নিষ্পত্তি না করে তাদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ইসি ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। একটি দলের প্রতি তারা কতটা আনুগত্য এ থেকেই তা বোঝা যায়।
এক প্রশ্নে রিজভী ক্ষমতাসীনদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আমরা সবসময় বলেছি, নির্বাচনে একটা স্পেস রাখার কথা। আমরা আশংকা করছি, ফলাফল কেড়ে নেয়াসহ নির্বাচন নিয়ে যত ধরনের দুর্বৃত্তমূলক আচরণ আছে, তারা করবে। সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হলে তারা ভালো নির্বাচন করবে।
এ সময় চেয়ারপারনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, কাজী আসাদ, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবু সাঈদ খান খোকন, রাশেদা বেগম হীরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।