সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যায় ৯ জনের যাবজ্জীবন, ২ জন খালাস

খুলনা প্রতিনিধি মানিক সাহা

খুলনার সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ৯ জনের আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম ওরফে বোমারু আকরাম, আলী আকবর ওরফে শাওন। এরা কারগারে আছেন। সাত্তার ওরফে ডিস্কো ছাতার, বেল্লাল, মিথুন, সরোয়ার ওরফে সরো, সাফায়াত ওরফে শওকত ওরফে সাকা পলাতক আছেন।

এ মামলায় দুজনের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন ওমর ফারুক ওরফে কচি ও হাই ইসলাম ওরফে কচি। এছাড়া বিস্ফোরক মামলায় ১০ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

খুলনার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত ৩০ নভেম্বর রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। তিনি আরও জানান, ২১ নভেম্বর খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান আব্দুস সামাদের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ২২-২৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক হয়। ২৭ ও ২৮ নভেম্বর দুদিন আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক হয়।

মানিক সাহা খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক সংবাদ ও বিবিসির খুলনা প্রতিনিধি ছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাবের কাছে ছোট মির্জাপুরে প্রবেশের মুখে দুবৃত্তরা বোমা হামলা চালিয়ে মানিক সাহাক হত্যা করে। ঘটনার দুদিন পর ১৭ জানুয়ারি মামলা করা হয়। খুলনা সদর থানার এসআই রনজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ২০০৪ সালের ২০ জুন খুলনা থানার তৎকালীণ ওসি মোশাররফ হোসেন ৫ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে মিঠুন, বুলবুল ওরফে বুলু ও আকরাম ওরফে বোমারু আকরাম জামিনে রয়েছে। সুজন ওরফে নুরুজ্জামান ও মো. আকবর আলী বিশ্বাস কারাগারে রয়েছে। এছাড়া সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, সাকা ওরফে সাখাওয়াত, বেল্লাল, সরো ওরফে সরোয়ার ও শওকত হোসেন পলাতক রয়েছে।

সর্বশেষ ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফেরত পাঠানো হয়। পুলিশ দুই দফা তদন্ত শেষে (অধিকতর তদন্তসহ) ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে ১৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের সবাই চরমপন্থী দলের সক্রিয় সদস্য বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।