বুধবার তিন আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
এদিন র্যাব-১১ এর সাবেক কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা, এএসআই বজলুর রহমান, সৈনিক আসাদুজ্জামান নূরের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
মাসুদ রানার পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ আব্বাস। অন্য দু’জনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান।
এর মধ্য দিয়ে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। পরে আদালত রায়ের দিন ধার্য করেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলি খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ সব আসামির দোষ প্রমাণে সক্ষম হয়েছে। আমরা তাদের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছি।’
এছাড়া আসামিদের মধ্যে যারা বিত্তশালী তাদের স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে ভিকটিমদের (ক্ষতিগ্রস্ত) পরিবারগুলোকে দেওয়ার আদেশ দিতে আদালতকে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করে পিপি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খোকন সাহা দ্রুততার সঙ্গে এই মামলায় ১০৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালতের বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিনদিন পর ৩০ এপ্রিল ছয়জনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন ১ মে আরও একই স্থানে পাওয়া যায় আরও একজনের লাশ।
ওই ঘটনায় নজরুল ইসলাম ও তার চার সহযোগীকে হত্যার অভিযোগে নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় তার জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় আরেকটি মামলা করেন। প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে ৩৫ জনকে আসামি করে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।