বাংলাদেশের প্রথম সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি পানি সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন শেখ হাসিনা। তাদের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী হাঙ্গেরি থেকে ফিরেছেন বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ, ‘আকাশ প্রদীপ’-এ করে। প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহারা খাতুন এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ।
বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সোয়া ৩টায় বুদাপেস্টের ফিরেন্স লিজৎ বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে যাত্রা করে বিমান।
বিদায়ের সময় হাঙ্গেরির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সশস্ত্র সালাম জানায়।
বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও হাঙ্গেরিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আবু জাফর বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে গত রোববার সকালে ঢাকা থেকে হাঙ্গেরির উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বিকালে তার বুদাপেস্টে পৌঁছানোর কথা থাকলেও বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় তুর্কমেনিস্তানে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান ‘রাঙা প্রভাত’ জরুরি অবতরণ করে।
সেখানে চার ঘণ্টা অনির্ধারিত যাত্রা বিরতির পর বিমান সারিয়ে নিরাপদে বুদাপেস্টে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। জানা যায় বাংলাদেশ বিমান বহরের দুই ইঞ্জিনের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজটিতে ‘ফুয়েল প্রেশার’ হঠাৎ কমতে শুরু করায় বিমানটি জরুরি অবতরণ করে।
এই ঘটনায় দায়িত্বে গাফিলতির কারণে বিমানের ছয় কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।