ক্রাইমবার্তা রিপোট:জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়াউর রহমানের মাজার সরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা সরকারের নীল নকশার ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, এই সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে চেষ্টা করছে, মু্ক্তিযুদ্ধের যারা মূল নায়ক বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা যিনি দিয়েছিলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম ও তার চিহ্ন বাংলাদেশের মাটি থেকে মুছে ফেলার। আমরা মনে করি, এটা সরকারের একটা নীল নকশার ষড়যন্ত্র। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামকে মুছে ফেলা- এটাই মূল উদ্দেশ্য।
লুই আই কানের করা জাতীয় সংসদ ভবনের মূল নকশাটি এসেছে বাংলাদেশে, যা পেলেই জিয়াউর রহমানের মাজারসহ ওই এলাকার অন্য সব স্থাপনা সরানোর ঘোষণা রয়েছে সরকারের।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা কোনোদিনই সম্ভব হবে না। কারণ শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম দেশের মানুষের হৃদয়ের মধ্যে প্রথিত হয়ে আছে। আমরা বলতে চাই, কোনো ষড়যন্ত্রই তাকে দেশের মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। সুতরাং মাজার বলুন, পদক বলুন, অন্য কিছু বলুন, এটা এদেশের মানুষ কোনদিনই মেনে নেবে না। সেই ধরণের কোনো হঠকারী কাজ করা হলে দেশের জনগন সেটা কখনো মেনে নেবে না।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা বহুবার বলেছি, এই সরকার গণবিচ্ছিন্ন সরকার। তারা জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। সেজন্য ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা সত্যিকার অর্থে যারা জনগণের প্রতিনিধি, যারা জনগনের প্রিয় নেতা, তাদের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে নীলনকসার ষড়যন্ত্র করছে। সেটা ১/১১ থেকে শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ১/১১ যেমন বিরাজনীতিকরণের ষড়যন্ত্র ছিলো, সেটাকে এই সরকার ধারণ করে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা করেছে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানো চেষ্টা করছে। দেশের মানুষ তাদের সব চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেবে।
নারায়নগঞ্জের সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কখনোই মনে করি না, বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করার উপযুক্ত। সেই যোগ্যতাই তাদের নেই। তারপরও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ও জনগনকে সংগঠিত ও তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমরা এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।
নারায়নগঞ্জের সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আবারো সেনা মোতায়েনসহ নিরপেক্ষ প্রশাসনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার নেতা-কর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে জিয়ার মাজারে ফুল দিতে যান বিএনপি মহাসচিব।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভানেত্রী শামা ওবায়েদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহবুব আলম প্রমূখ নেতবৃন্দ এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন। তারা জিয়ার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর মরহুম নেতার আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাতে অংশ নেন।
১৯৯৬ সালের ২ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এবার তাদের ২০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে।