ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট:মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০০ জুয়াড়িকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ জন ভারতীয়। তারা বিপিএল ম্যাচ চলার সময় গ্যালারিতে বসে জুয়া কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। আটককৃতদের সবাইকে অবশ্য মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে এমন খবর।
বিপিএলে যাতে ম্যাচ ফিক্সিং, অনৈতিক ও অসামাজিক কাজকর্ম যাতে না হতে পারে সেটা দেখভাল করার জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করেছে বিসিবি। সেই দলের প্রখর নজরদারীর ফলে এসব জুয়াড়িদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। জুয়াড়িরা টিকেট কেটে গ্যালারিতে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খেলা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য মূল জুয়ার আসরের নির্দিষ্ট প্রতিনিধির কাছে সরবরাহ করে থাকেন।
বিসিবির বিশেষ টিমের সদস্যরা পুরো গ্যালারিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন। প্রমাণ পাওয়ার পরই তারা পুলিশকে অবহিত করেন। এ পর্যন্ত ১০০ এর মতো জুয়াড়িকে আটক করা হলেও, ফের এ কাজে সম্পৃক্ত না হওয়ার শর্তে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে গ্যারান্টি দেওয়ার পর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিদেশি জুয়াড়িদের ব্যাপারে ঢাকাস্থ তাদের দূতাবাসে জানানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর কথা।
একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামে জুয়াড়িদের সংখ্যা অনেক বেশি। বিপিএলে চট্টগ্রামে মাঠে উপস্থিত জুয়াড়িদের সংখ্যা দেখে নাকি বিস্মিত হয়ে যায় বিসিবির বিশেষ টিম। সংখ্যা এত বেশি যে, তাদের সবাইকে আটক করলে গ্যালারির একটা উল্লেখযোগ্য অংশই ফাঁকা হয়ে যেত। এ কারণে চট্টগ্রাম পর্ব থেকে কাউকে আটক করেনি পুলিশ।
শুরু থেকে তেমন না জমলেও শেষ দিকে জমজমাট হয়ে উঠেছে এবারের বিপিএল। তবে শুরু থেকেই জমে ওঠে বিপিএল নিয়ে জুয়ার আসর। নগরে, শহরে, অলি-গলিতে এমনকি গ্রামে গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়ে বিপিএল জুয়া। এমনকি দেশের বাইরেও কোটি কোটি ডলার হাত বদল হচ্ছে বিপিএল জুয়ার মাধ্যমে।
২০১২ সালে সফলভাবে প্রথম আসর শেষ হলেও দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে ক্ষতবিক্ষত হয় বিপিএল। ম্যাচ গড়াপেটার কারণে একবছর বন্ধ থাকে বিপিএল।২০১৫ সালে তৃতীয় আসর সফলভাবে শেষ হলেও চলতি আসরে একের পর অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটছে। ঢাকাটাইমস