ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট:অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ভারতের একটি নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন বিয়ের পর স্ত্রীকে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামায়। এটা তাদের একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। বিয়ের আগে থেকেই এখানকার নারীরা জানেন, তাদের কার্যত যৌনকর্মী হিসেবেই বেঁচে থাকতে হবে। আর যুগের পর যুগ ধরে এভাবেই গৃহবধূদের ওপর চলছে স্বামী কর্তৃক এই নির্যাতন ও পারিবারিক নিপীড়ন।
রাজধানী দিল্লীর শহরতলীতে প্রতীপের নিচের অন্ধকারের মতো নাজাফগড়ে পেরনা নামে এ নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। সেখানেই বহু বছর ধরে চলছে হীন এই অপকর্ম।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নাজাফগড়ের ধরমপুরা এলাকায় এ সম্প্রদায়ের কিশোরী বধূ সিতা। মাত্র ১৭ বছর বয়সে যখন তার বিয়ে হয় তখন এ অন্ধকার জগৎ সম্পর্কে কোন ধারণাই ছিল না। বিয়ের পরই স্বামী তাকে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামায়। ফলে রাতের পর রাত ২০০ থেকে ৩০০ রুপির জন্য তাকে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হয়।
প্রতি রাতে এ কাজের বিনিময়ে প্রাপ্ত রুপি সে স্বামীর হাতে তুলে দেয়। না দিলেই নেমে আসে ভয়াবহ নির্যাতন। পরিবারের অন্যরাও তার পক্ষে এগিয়ে আসে না।
ঝোপে-ঝাড়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে খদ্দেরকে খুশি করতে হয়। রাতভর দেহ ব্যবসা করে যখন তারা বাড়ি ফিরে তখনও সবাই ঘুমিয়ে থাকে। এতেও নিস্তার নেই তাদের। গোসল করে আবার ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় সংসারের কাজে। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরও এই কাজ করতে হয়।
এভাবেই চলে আসছে বছরের পর বছর। তবে এসব কর্মকাণ্ডে কোনো রাখঢাক রাখে না তারা। কারণ এটাই যে তাদের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম পথ।