ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় নীরবতার জন্য সমালোচিত অং সান সু চি বলেছেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি এবং শান্ত করেছি।’
শুক্রবার সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
শান্তিতে এই নোবেল বিজয়ী বলেন, ‘আমি খুব খুশি হব যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সব সময় বড় ধরনের অসন্তোষ ছড়ানোর কারণ তৈরি না করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ার জন্য অগ্রগতি আনতে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আমাদের সহযোগিতা করে।’
পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলার বিষয়টি এড়িয়ে প্রত্যেকে যদি শুধু পরিস্থিতির নেতিবাচক দিকের প্রতি মনোযোগ দেয় তাহলে তা কোনো কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গত অক্টোবরে মিয়ানমারের সেনাচৌকিতে হামলায় নয়জন নিহত হন। এরপর দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা রাজ্যে অভিযান শুরু করে।
এরপর সহিংসতায় ৮৬ জনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। নিহতদের মধ্যে ৬৯ জনকে সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদী বলেছে তারা। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, নিহতের সংখ্যা আরো বেশি।
সেনা অভিযানে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া এবং বেসামরিকদের হত্যার অভিযোগ করেছে সংগঠনগুলো। তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সরকার তা অস্বীকার করেছে।
ওই এলাকায় বিদেশি সাংবাদিক ও ত্রাণকর্মীদের প্রবেশ করতে দেয়নি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে একটি কমিশন রাখাইন স্টেটে পৌঁছানোর পর এ বিষয়ে কথা বললেন সু চি।
রোহিঙ্গা-রাখাইন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে করণীয় বের করতে কাজ করছে আনানের নেতৃত্বাধীন কমিশন, সেখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাথে মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধিও রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে নীরব থাকায় মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী সু চির সমালোচনা হচ্ছে নানা মহল থেকে। তার নোবেল শান্তি পুরস্কার ফিরিয়ে নেয়ার দাবিও তোলা হয়েছে।
এদিকে সহিংসতার পর থেকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
এর আগে ২০১২ সালে রাখাইনে বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার পর সেখানে আলাদাভাবে বসবাস করে দুই সম্প্রদায়