ক্রাইমবার্তা রিপোট:চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) টি এম মোজাহিদুল ইসলাম আজ রোববার হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আর ক্ষমার প্রার্থনার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
আজ রোববার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মোজাহিদুল ইসলাম সশরীরে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ২৬ তারিখে তিনি ডাকাত মেরে ফেলার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তার প্রেক্ষিতে ‘দৈনিক আমাদের সময়ে’ যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল তা সত্য ছিল। ওই ঘটনার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি আমি এ ধরনের বক্তব্য আর কখনও দিব না।
আজ সকালে আদালতে এসপির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শফিক আহমেদ, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মাহবুব শফিক প্রমুখ।
‘ডাকাত হাতেনাতে পেলে পিষে মেরে ফেলুন’ শিরোনামে গত ২৬ নভেম্বর দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন ওইদিন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ-জামান। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে আদালত এসপিকে তলব ও রুল জারি করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল চত্বরে গত ২৫ নভেম্বরের অনুষ্ঠানে এসপি মোজাহিদুল বলেন, ‘কোনো ডাকাতকে হাতেনাতে ধরতে পারলে তাকে পিষে মেরে ফেলতে হবে’।
তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশে আরও বলেন, ‘যদি ডাকাত হাতেনাতে ধরতে পারেন, এলাকার লোকজনকে মাইকে ডেকে এনে ওকে পিষে মেরে ফেলেন। মাদকের গাড়ি হলে সেটি আগুনে পুড়িয়ে দেবেন। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি- আপনাদের নামে কোনো মামলা হবে না।