ক্রাইমবার্তা রিপোট:নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘শক্তিশালী ইসি গঠনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শুধুমাত্র প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই প্রস্তাবে ভুল ও দুর্বলতা থাকলে সেটা বলুন, এমনকি এর চেয়ে ভালো কোনো প্রস্তাব আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে থাকলে তা-ও বলুন।’
রবিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
দলটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নেতা খন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, জেবেল রহমান গানি, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান প্রমুখ। এ ছাড়া গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বক্তব্য দেন।
দেশে গণতন্ত্রের দুঃসময় চলছে এমন মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। এদের অধীনে কখনো কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, হবেও না। কারণ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু গণতন্ত্রের প্রয়োজন। যা বর্তমানে দেশে নেই।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যাদের হত্যা করেছে, বিএনপিকে তাদেরকে জীবন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ নিজেদেরও হত্যা করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তখন সেই আওয়ামী লীগকেই পুনর্জীবন দান করেছেন। এখন তারা জনগণকে ভয় পায়। আর ভয় পায় বলেই বিনা ভোটে নিজেদের নির্বাচিত বলে দাবি করে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে।
আলোচনায়া অংশ নিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অশুভ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেশকে অনিবার্য গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ভুটান কিংবা সিকিম নয়, এই দেশ বাংলাদেশ। তাই প্রধানমন্ত্রী শত চেষ্টা করেও ১৬ কোটি মানুষকে অন্যায়ভাবে দাবিয়ে রাখতে পারবেন না। এমনকি অনুগত পুলিশ ও র্যাব বাহিনী দিয়েও গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলন দমন করা যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবেই।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি দেশের অভিভাবক। কিন্তু আপনার মুখে বিরোধী দলের প্রধানদের বিরুদ্ধে এমন অশ্লীল অশ্রাব্য শুনে দেশবাসী বিস্মিত হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র দূরে থাক কোনো ভদ্র লোকের এ দেশে বসবাস করাটা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।